সালাহর গোলে সিটিকে হারাল লিভারপুল
ইংলিশ লিগে জালের দেখা পাচ্ছিলেন না শেষ পাঁচ ম্যাচে ধরে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কদিন আগেই ছয় মিনিটে হ্যাটট্রিক করে দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন। এদিনও বেশ কয়েকটি দারুণ সুযোগ নষ্ট হওয়ায় মনে হচ্ছিল আরও একটি হতাশার ম্যাচই উপহার দিতে যাচ্ছেন মোহামেদ সালাহ। শেষ পর্যন্ত জালের দেখা পেয়েছেন এ মিশরীয় তারকা। তার গোলেই মৌসুমে সিটিজেনদের প্রথম হার উপহার দিল রেডরা।
রোববার অ্যানফিল্ডে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে লিভারপুল।
গত মৌসুমটা দারুণ কাটালেও এ মৌসুমে বেশ ভুগছিল লিভারপুল। লিগে আট রাউন্ডে জয় ছিল মাত্র দুটি। চারটি ড্রয়ের সঙ্গে দুটি হার। অন্যদিকে আর্লিং হালান্ডকে দলভুক্ত করে যেন উড়ছিল সিটি। আট ম্যাচেই প্রতিপক্ষের জালে ৩৩টি গোল তাদের। এমন পরিসংখ্যানে রেডদের পক্ষে বাজী ধরার মতো মানুষ ছিল কমই।
তবে লিভারপুলের আত্মবিশ্বাসের জায়গা ছিল মৌসুমের শুরুতে হওয়া কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচ। সে ম্যাচে সিটিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো এ শিরোপা জিতেছিলেন কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ। এদিন দারুণ এক লড়াইয়ে আরও একবার সিটিকে হারাল তারা।
এ জয়ে নয় ম্যাচ শেষে ৩টি জয় ও ৪টি ড্রয়ে লিভারপুলের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। পয়েন্ট তালিকায় আট নম্বরে উঠে এসেছে তারা। সমান ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সিটি। নয় ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে রয়েছে আর্সেনাল।
মাঝমাঠের দখল সিটির বেশি থাকলেও আক্রমণ বেশি করে স্বাগতিকরাই। ১৬টি শট নিয়েছে তার। যার ৬টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ১৩টি শট নিয়ে ২টি লক্ষ্য রাখতে পারে সিটি।
শুরু থেকেই আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দুই দল। তবে ডেডলক ভাঙে ৭৬তম মিনিটে। বল ধরে গোলরক্ষক এলিসনের উড়িয়ে মারা বলে ফাঁকায় পেয়ে যান সালাহ। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে একা পেয়ে বল জালে পাঠাতে কোনো ভুল হয়নি তার।
অথচ দ্বিতীয়ার্ধের পাঁচ মিনিট যেতেই ফিরমিনো বাড়ানো বলে ঠিক একইভাবে সিটি গোলরক্ষক এদেরসনকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন সালাহ। সেই সুযোগ নষ্ট করেন এ মিশরীয় ফরোয়ার্ড। প্রায় একই ধরণের শটে হালকা গোলরক্ষকের হাতে লাগলে প্রায় বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
৫৫তম মিনিটে অবশ্য লিভারপুলের জালে বল পাঠিয়েছিলেন ফিল ফোডেন। তবে এর আগে বল দখলের সময় ফ্যাবিনহোর জার্সি ধরে টান মেরেছিলেন হালান্ড। যে কারণে ভিএআরে ফাউলের কারণে গোল মিলেনি অতিথিদের।
এছাড়াও গোলের সুযোগ ছিল আরও অনেক। দুই দলের খেলোয়াড়ই মিস করেছেন অনেক। বদলি নেমে ডারউইন নুনেজ দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। এগিয়ে যাওয়ার পরের মিনিটে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। ৮৭তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও বরাবর শট নিয়ে নষ্ট করেন। অথচ অন্যপাশে ফাঁকায় দাঁড়িয়েছিলেন সালাহ।
সহজ সুযোগ নষ্ট করেন দিয়াগো জটাও। ৫৬তম মিনিটে সালাহর ক্রসে একেবারে অরক্ষিত অবস্থায় ফাঁকায় পেয়েও লক্ষ্যে হেড রাখতে পারেননি। ৭০তম মিনিটে সালাহর কোণাকোণি শট লক্ষ্যে থাকলে এগিয়ে যেতে পারতো লিভারপুল।
সিটিও পারেনি সুযোগ লাজে লাগাতে। ১৫তম মিনিটে হালান্ডের শট এক খেলোয়াড় ব্লক করলে ফাঁকায় পেয়ে ইকাই গুন্দোগানের শট ঠেকান অ্যালিসন। ৩৩তম মিনিটে হালান্ডের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। সাত মিনিট পর হালান্ডের হেড ঠেকান অ্যালিসন। ৬৪তম মিনিটে আরও একটি দারুণ সেভে হালান্ডকে হতাশ করেন এ গোলরক্ষক। শেষদিকে তো বেশ কিছু সুযোগ নষ্ট করেন হালান্ডরা।
Comments