নেদারল্যান্ডসকে মাঝারি লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

Afif Hossain

দুই ওপেনারের শুরুটা ছিল জুতসই। পাওয়ার প্লেও কাজে লাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর মাঝের ওভারে খেই হারায় দল, পড়তে থাকে একের পর উইকেট। চাপে পড়া দলকে উদ্ধারে হাল ধরেন আফিফ হোসেন। তিনি থামার পর শেষটায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু রান আনেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

সোমবার হোবার্টে আগে ব্যাটিং পেয়ে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ২৭ বলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন আফিফ। আটে নামা মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ২০ রানে।

ডাচদের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার পল ভ্যান মিক্রেনের। ৪ ওভারের কোটা পূরণ করে এই পেসার ২১ রান দিয়ে তুলেছেন ২ উইকেট। ২ উইকেট পেয়েছেন আরেক পেসার বাস ডি লিডও। 

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে দুই চারে শুরু করেন সৌম্য সরকার। নাজমুল হোসেন শান্ত শুরুতে কয়েক বল সময় নিলেও পরে দ্রুতই সামলে নিয়ে পেয়ে যান বাউন্ডারির দেখা। রানিং বিট্যুইন দ্য উইকেটেও সচল থাকেন তারা।

বাস ডি লিডকে ওভারে দুই চার মারার পর ফ্রেড ক্লাসেনকেও দুই চার মারেন শান্ত। ৫ ওভারেই চলে আসে ৪৩ রান। তবে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বাংলাদেশ খায় ধাক্কা। পল ভ্যান মিক্রেনের বলের গতি বুঝতে না পেরে পুল করতে যান সৌম্য। মিড উইকেটে সহজ ক্যাচে বিদায় নেন ১৪ বলে ১৪ করা এই বাঁহাতি।

পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে আসে ৪৭। কিন্তু পাওয়ার প্লের ঠিক পরেই বিদায় নেন থিতু থাকা  শান্ত। টিম প্রিঙ্গলের বাঁহাতি স্পিনে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে সহজ ক্যাচে ফেরেন তিনি। ২০ বলে ২৫ রান আসে শান্তর ব্যাট থেকে।

বল থেমে আসছিল ব্যাটে, টাইমিং হচ্ছিল না। লিটন দাস নেমে ওভার দ্য টপ খেলতে গিয়েও পারছিলেন না। ভ্যান বিকের বলে তুলে মারতে গিয়ে ১১ বলে ৯ রান করতে গিয়ে ফেরেন লিটন। পরের ওভারে অধিনায়ক সাকিবকে হারায় বাংলাদেশ। লেগ স্পিনার  শারিজ আহমেদেকে  স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দারুণ দক্ষতায় লাফিয়ে সে ক্যাচ হাতে জমান ডি লিড।

ইয়াসির আলি ভরসা হতে পারেননি। ভ্যান মিক্রেনের মিডল-লেগের উপর ভেতরে করা বল ফ্লিক করতে গিয়ে ব্যাটে নিতে পারেননি। বোল্ড হয়ে থামে তার ৫ বলে ৩ রানের ইনিংস।

হুট করে নেমে আসা বিপদে ত্রাতা হন আফিফ। লেগ স্পিনার শারিজকে ছক্কায় উড়িয়ে শুরু। এই ১৯ পেরুনো তরুণকে পরেও মেরেছন ছয়। আফিফ অবশ্য আউটের সুযোগ দিয়েছিলেন ডাচদের। মিক্রেনের বলে তার ক্যাচ ফেলে দেন প্রিঙ্গল। ২৮ রানে জীবন পাওয়া পরেও টেনে নিচ্ছিলেন বাংলাদেশকে।

তার সঙ্গে ৪৪ রানের জুটিতে থাকা নুরুল হাসান ডানা মেলতে পারেননি। ডি লিডের বল ফাইন লেগের উপর দিয়ে উড়াতে গিয়ে পারেননি। সহজ ক্যাচে থামে তার ১৮ বলে ১৩ রানের ইনিংস। ওই ওভারে আফিফকেও হারায় বাংলাদেশ। ডি লিডের লেগ স্টাম্পের উপর করা শর্ট ঘুরাতে গিয়ে কিপারের দারুণ ক্যাচে থামেন আফিফ। ২৭ বলে দুটি করে ছয়-চারে ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৮ রান আসে তার ব্যাটে।

পরের ওভারে তাসকিনকে থামান ক্লাসেন। শেষ এক ছক্কায় আরও ১০ রান যোগ করেন মোসাদ্দেক। মেঘলা আকাশে কিছুটা কঠিন কন্ডিশনে এই পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশকে জিততে হলে বোলারদের রাখতে হবে বড় ভূমিকা।

Comments

The Daily Star  | English

Students to resist AL event today

The student movement against discrimination will hold a mass gathering at Zero Point in the capital’s Gulistan today, demanding trial of the Awami League.

3h ago