১৪৫-১৫০ রানের সংগ্রহ চেয়েছিলেন সাকিব

ছবি: এএফপি

১০.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৭৩ রান। সেই ভিত কাজে লাগিয়ে ভালো পুঁজি পেতে ব্যর্থ হয় তারা। মামুলি সংগ্রহ নিয়ে পরে বোলাররা চেষ্টা চালালেও পাকিস্তানের সঙ্গে পেরে ওঠা যায়নি। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয় সাকিব আল হাসানের দল। হারের পর টাইগার অধিনায়ক স্বীকার করে নেন লড়াইয়ের জন্য স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান না থাকার বিষয়টি।

নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অঘটন ঘটানোয় সেমিফাইনালে ওঠার পথ খোলা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু সুপার টুয়েলভের বাঁচা-মরার ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে তারা। অ্যাডিলেডে রোববার আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১২৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ১১ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে বাবর আজমের দল। ভারতের পর দুই নম্বর গ্রুপ থেকে তারা পায় শেষ চারের টিকিট।

টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেন বাঁহাতি তারকা অলরাউন্ডার সাকিব। সেসময় তিনি বলেন, 'আমরা আগে ব্যাট করব। উইকেট দেখে শুষ্ক মনে হচ্ছে। স্কোরবোর্ড রান তুলে সেটা ডিফেন্ড করতে চাই।'

সাকিবের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের আশা জাগিয়েও মাত্র ১২৭ রান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বাংলাদেশ। অথচ ফিফটি করা নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে ভালো অবস্থানে ছিল দল। পাকিস্তানের লেগ স্পিনার শাদাব খানের পরপর দুই বলে সৌম্য ও আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সাকিব বিদায় নিলে দিক হারায় দল। আফিফ হোসেন একপ্রান্তে টিকে থাকলেও মোসাদ্দেক হোসেন ও নুরুল হাসান সোহান জাগান আক্ষেপ। শেষ ২৯ বলে কেবল ২৪ রান করতে পারে বাংলাদেশ।

সুপার টুয়েলভে নিজেদের যাত্রা থামার পর সাকিব বলেন স্কোরবোর্ডে অপর্যাপ্ত পুঁজির কথা, '(ইনিংসের) মাঝপথে আমাদের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৭০ রান। আমরা ১৪৫-১৫০ রানের আশেপাশে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম। এই পিচে সেটা ভালো সংগ্রহ হতো।'

উইকেটে নতুন ব্যাটারদের পক্ষে মানিয়ে নেওয়া ছিল কঠিন। সাকিবের মতে, থিতু হওয়া একজনকে শেষ পর্যন্ত খেলা চালিয়ে যেতে হতো, 'আমরা জানতাম যে নতুন ব্যাটারদের জন্য এটা কঠিন হবে। তাই সেট ব্যাটারদের শেষ পর্যন্ত থেকে যেতে হতো। সেটা হয়নি।'

এবারের আসরের মূল পর্বে পাঁচ ম্যাচ খেলে দুটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দলের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম জানান, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটাই বাংলাদেশের সেরা পারফরম্যান্স। সাকিবের কণ্ঠেও সেই সুর প্রতিধ্বনিত হয়, 'ফলের দিক থেকে, এটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের সেরা পারফরম্যান্স। আরও ভালো করতে পারতাম। তারপরও নতুন ছেলেদের দলে আসা ও নানা পরিবর্তন বিবেচনায় নিলে এটিই আমাদের সেরা প্রত্যাশা ছিল।'

২০০৭ সালে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এখন পর্যন্ত হওয়া আট আসরের সবকটিতে খেলেছেন সাকিব। ২০২৪ সালে আগামী আসর যৌথভাবে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ দলনেতা বলেন, 'আমার নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে... আমি আরও ভালো করতে পারতাম। যতক্ষণ আমি ফিট ও পারফর্ম করছি, আমি খেলতে চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

44m ago