ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে দানি আলভেস

বয়সটা ৩৯ পেরিয়েছে। এ বয়সের পা রাখার অনেক আগেই বড় বড় তারকা খেলোয়াড়দের বুট জোড়া তুলে রাখতে হয়েছে। সেখানে তরুণদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখনও খেলে যাচ্ছেন দানি আলভেস। এমনকি জায়গা করে নিলেন ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলেও। তাকে নিয়েই কাতার বিশ্বকাপে যাচ্ছে রেকর্ড পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

সোমবার কাতার বিশ্বকাপের জন্য ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেন ব্রাজিলিয়ান কোচ তিতে। এ দলে আলভেসের সঙ্গে ফিরেছেন আর্সেনালের গাব্রিয়েল জেসুসও। গত সেপ্টেম্বরে খেলা সবশেষ দুটি প্রীতি ম্যাচের দলে ছিলেন না তারা।

তিতের দলে ফরোয়ার্ড রয়েছে নয় জন। জেসুস ছাড়াও জায়গা পেয়েছেন আর্সেনালের আরেক ফরোয়ার্ড গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। এছাড়া রয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের অ্যান্তনি, ফ্লেমিশের পেদ্রো, বার্সেলোনার রাফিনহা, টটেনহ্যামের রিচার্লিসন, রিয়াল মাদ্রিদের রদ্রিগো ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং পিএসজির নেইমার।

আলোচনায় থাকলেও জায়গা হয়নি আর্সেনালের ডিফেন্ডার গ্যাব্রিয়েলের। জুভেন্তাস থেকেও নেওয়া হয়েছে তিন ডিফেন্ডার দানিলো, আলেক্স সান্দ্রো ও ব্রেমার। এছাড়া রয়েছেন রিয়ালের এদের মিলিতাও, পিএসজির মারকুইনহোস, চেলসির থিয়াগো সিলভা ও সেভিয়ার অ্যালেক্স তেলেস।

মাঝমাঠে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাসেমিরো, ফ্ল্যামেঙ্গোর এভারটন রিবেইরো, লিভারপুলের ফ্যাবিনহো, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ফ্রেদ ও ওয়েস্টহ্যামের লুকাস পাকেতার সঙ্গে তিতে আস্থা রেখেছেন নিউক্যাসেলের তরুণ ব্রুনো গুইমারেসে।

বাদ পড়া উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্রাজিলের এ স্কোয়াডে জায়গা হয়নি ফিলিপ কৌতিনহোর। একে ছন্দে নেই এই সাবেক লিভারপুল ও বার্সেলোনা, তার উপর কদিন আগে ঊরুর চোটে পড়েছেন। তাই প্রত্যাশিতভাবেই বাদ পড়েছেন তিনি। এছাড়া লিভারপুলের রবার্তো ফিরমিনোকেও রাখেননি তিতে।

বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দলই ব্রাজিল। যদিও ২০০২ সালের পর তাদের দৌড় থেমেছে সর্বোচ্চ কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে। এবার ইএলও রেটিং অনুযায়ী কাতার বিশ্বকাপের ফেভারিট দল ব্রাজিল। এছাড়া বাজীর দৌড়ে অনেক এগিয়ে তারা। তাই এ দলটির দিকে তাকিয়ে ছিল সাড়া বিশ্বই।

আগামী ২০ নভেম্বর পর্দা উঠবে কাতার বিশ্বকাপের। তবে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ মিশন শুরু হবে ২৪ নভেম্বর থেকে। প্রতিপক্ষ সার্বিয়া। এরপর ২৭ সেপ্টেম্বর সুইজারল্যান্ড ও ২ ডিসেম্বর ক্যামেরুনের মুখোমুখি হবে দলটি।

ব্রাজিলের বিশ্বকাপ স্কোয়াড 

গোলরক্ষক: অ্যালিসন (লিভারপুল), এদেরসন (ম্যানচেস্টার সিটি), ওয়েভারটন (পামস)

ডিফেন্ডার: দানি আলভেস (পুমাস), দানিলো (জুভেন্টাস), অ্যালেক্স তেলেস (সেভিয়া), আলেক্স সান্দ্রো (জুভেন্টাস), ব্রেমার (জুভেন্টাস), এদের মিলিতাও (রিয়াল মাদ্রিদ), মারকুইনহোস (পিএসজি), থিয়াগো সিলভা (চেলসি)

মিডফিল্ডার: কাসেমিরো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), এভারটন রিবেইরো (ফ্ল্যামেঙ্গো), ব্রুনো গুইমারেস (নিউক্যাসল), ফ্যাবিনহো (লিভারপুল), ফ্রেদ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), লুকাস পাকেতা (ওয়েস্ট হ্যাম)

ফরোয়ার্ড: অ্যান্তনি (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), গ্যাব্রিয়েল জেসুস (আর্সেনাল), গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি (আর্সেনাল), নেইমার (পিএসজি), পেদ্রো (ফ্লেমিশ), রাফিনহা (বার্সেলোনা), রিচার্লিসন (টটেনহ্যাম), রদ্রিগো (রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ)।

Comments

The Daily Star  | English

Life insurers mired in irregularities

One-fourth of the life insurance firms in the country are plagued with financial irregularities and mismanagement that have put the entire industry in danger.

6h ago