সূর্যকুমার তাণ্ডবে বড় ব্যবধানে নিউজিল্যান্ডকে হারালো ভারত
ব্যাট হাতে সূর্যকুমার যাদব একাই গড়ে দিয়েছিলেন জয়ের ভিত। বল হাতেও নিজেদের কাজটা ঠিকমতো করলেন ভারতীয় বোলাররা, ফলে বড় জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেল ভারত। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে।
রোববার নিউজিল্যান্ডের মাউন্ট মঙ্গানুইতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের ৬৫ রানে হারিয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। টসে জিতে বোলিং নেওয়াটা কাল হয়ে দাঁড়ায় কিউইদের, সূর্যকুমারের ঝড়ো সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড় গড়ে ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানে থামে সফরকারীরা। জবাবে কাজে আসেনি কেইন উইলিয়ামসনের ফিফটি, ১৮.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৬ রানে থামে ব্ল্যাক ক্যাপসদের ইনিংস।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই হোঁচট খায় নিউজিল্যান্ড, ব্যক্তিগত শূণ্য রানে আর্শদ্বীপ সিংয়ের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ফিন অ্যালেন। এরপর ডেভন কনওয়ে ও উইলিয়ামসন মিলে গড়েন ৪৭ বলে ৫৬ রানের জুটি। তবে ধীরগতির এই জুটি কাজে আসেনি রান-বলের সমীকরণ মেলাতে। নবম ওভারে ওয়াশিংটন সুন্দরকে তুলে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন কনওয়ে। ২৫ রান করে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
গ্লেন ফিলিপস, ড্যারি মিচেলরা বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ককে, স্কোরবোর্ডে ৩২ রান যোগ করতেই ফিরে যান তারা দুজন। ম্যাচ ততক্ষণে অনেকটাই নাগালের বাইরে চলে গেছে কিউইদের। শেষ সাত ওভারে জয়ের জন্য ১০৪ রানের সমীকরণ ছিল তাদের সামনে। তবে সেই চাপ সামাল দিতে পারেনি স্বাগতিকরা, ভাঙনের কবলে পড়ে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং অর্ডার।
একপ্রান্ত আগলে ফিফটি তুলে নেন উইলিয়ামসন, অপর প্রান্তে চলতে থাকে ব্ল্যাক ক্যাপসদের আসা যাওয়ার মিছিল। দলীয় সংগ্রহের খাতায় আর ৩৮ রান যোগ করতেই অলআউট হয়ে যায় তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ বলে ৬১ রান করেন উইলিয়ামসন। চার উইকেট শিকার করেন দীপক হুডা।
এর আগে ব্যাট হাতে দলীয় ৩৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। ওপেনিংয়ে নামা রিশভ পান্ত ফিরে যান মাত্র ছয় রানে। এরপর দলের হাল ধরেন সূর্যকুমার ও ইশান কিশান। ৩৬ রান করে সোধিকে উইকেট দিয়ে ফেরেন ইশান, এরপর একা হাতে ভারতকে বড় পুঁজি এনে দেন সূর্যকুমার।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে থাকা এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে। তার ৫১ বলের ইনিংসে ছিল ১১ চার ও সাত ছক্কার মার। এই ইনিংসে কিউইদের বলার মতো সাফল্য ছিল কেবল টিম সাউদির হ্যাটট্রিক। শেষ ওভারে হার্দিক, দীপক ও সুন্দরকে পর পর তিন বলে আউট করে এই কীর্তি গড়েন অভিজ্ঞ পেসার। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন সূর্যকুমার।
Comments