ছুটি পেয়েও দলের সঙ্গে চট্টগ্রামে হৃদয়

একটা-দুইটা নয়, লেগেছে আটটি সেলাই। অথচ হাতে কোনো ধরণের সেলাই লাগাতেই রাজী ছিলেন না তৌহিদ হৃদয়। কারণ চলতি বিপিএলে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এ তরুণ আতঙ্কে ছিলেন আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার। এমনকি ছুটি পেয়েও দলের সঙ্গেই আছেন তিনি। এমনটাই জানালেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের মিডিয়া ম্যানেজার মিনহাজ উদ্দিন খান।

বিপিএল এবার প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ব্যাট করার সুযোগই পাননি পাননি হৃদয়। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে পরের ম্যাচে মিলে টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ের সুযোগ। আর সে সুযোগ কি দারুণভাবেই না লাগালেন কাজে। টানা তিন ম্যাচে তিন নম্বরে নেমে প্রতি ম্যাচেই পেয়েছেন হাফসেঞ্চুরি। কিন্তু সঙ্গী হলো দুর্ভাগ্যও।

আঙুলে চোট পেয়ে অন্তত ১০ দিনের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন হৃদয়। স্বাভাবিকভাবেই চট্টগ্রাম পর্বে তাকে ছুটি দিতে চেয়েছিল দল। কিন্তু ছুটি নিতেও রাজী হননি এ তরুণ। দলের সঙ্গে চট্টগ্রামে এসে উঠেছেন টিম হোটেলেই। হিলিংয়ের সময়টা কাটাবেন দলের সঙ্গেই।

মূল ঘটনা ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ইনিংসের দ্বাদশ ওভারে। পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন হৃদয়। রেজাউর রহমান রাজার অফ স্টাম্পের বারের বলে কাট করেন নাসির হোসেন। জোরালো শটে ক্যাচ নিতে গিয়ে ব্যর্থ হন হৃদয়। বল তার হাতে লেগে চলে যায় বাউন্ডারিতে। পরে দেখা যায় হৃদয়ের হাত দিয়ে বেরুচ্ছে রক্ত।

হৃদয়ের এমন একাগ্রতা ও আত্মনিবেদনকে 'স্পোর্টিং স্পিরিট' হিসেবে দেখছে সিলেট ফ্র্যাঞ্চাইজি। দলটির মিডিয়া ম্যানেজার বলেন, 'সেলাই লাগবে শুনে ওতো আঁতকে ওঠে। বিপিএলে আর খেলতে পারবে না ভেবে চাচ্ছিলই না সেলাই লাগাতে। বোঝানোর পর নিয়েছে। টিম থেকে ছুটি দিলেও নেয়নি। বলে দলের সঙ্গেই থাকতে চাই।'

নিজের খেলার ধরণে আমূল পরিবর্তন এনে এবার দুর্দান্ত খেলছেন হৃদয়। বিপিএলের ঢাকা পর্বে সিলেটের টানা চারটি জয়েই বড় অবদান রয়েছে তার। তিন ইনিংসে ব্যাট করে প্রতিটিতেই করেছেন ফিফটি। ৩৪ বলে ৫৫, ৩৭ বলে ৫৬ রানের পর ৪৬ বলে খেলেন ৮৪ রানের ইনিংস। ৬৫ গড় ও ১৬৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্ট সর্বোচ্চ ১৯৫ রান করেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago