দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম হারের ধাক্কা খেল বাংলাদেশের মেয়েরা

Bangladesh under 19 women
ছবি:আইসিসি

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা বাংলাদেশ দল শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আমিরাতকে কাবু করে গ্রুপ সেরা হয়েই নিশ্চিত করেছিল সুপার সিক্স। তবে এই ধাপে এসে উড়তে থাকা দিশা বিশ্বাসের দল খেল ধাক্কা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্বাগতিকদের সঙ্গে হেরেছে বাংলাদেশের উনিশ না পেরুনো মেয়েরা।

শনিবার পচেফস্ট্রমে নারী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে  ৫ উইকেটে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। মন্থর উইকেটে আগে ব্যাটিং নিয়ে বাংলাদেশের করা ১০৬ রান স্বাগতিকরা পেরিয়ে যায় ৭ বল আগে।

বল হাতে ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের হন্তারক কায়লা রেইনিক। রান তাড়ায় প্রোটিয়াদের তরী তীরে ভেড়ান ম্যাডিসন ল্যান্ডসম্যান ও কারাবো মেসো। ৩৮ বলে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে ম্যাডিসনের ব্যাটে। ৩০ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন মেসো। 

স্রেফ ১০৬ রানের পুঁজি নিয়ে যেমন বল করা দরকার সেটাই শুরুতে করছিল বাংলাদেশ। প্রথম ওভার থেকেই আঁটসাঁট বল করে চাপ বাড়ায় প্রোটিয়াদের উপর। রানের চাপ সামলাতে না পেরে একের পর এক ভুলও করতে থাকে স্বাগতিকরা। তৃতীয় ওভারে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাটা পড়েন ফন রেনবার্গ।

আরেক ওপেনার সিমন লউরেন্স থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। চার বাউন্ডারিতে ভয় ধরাচ্ছিলেন। লেগ স্পিনার রাবেয়া খান এসেই বদলে দেন পরিস্থিতি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তার নিচে হওয়া বলে বোল্ড হয়ে থামেন লউরেন্স। 

৮ম ওভারে রেইনিক রাবেয়ার বলে উড়াতে গিয়ে পার করতে পারেননি মিড অন। প্রত্যাশার হাতে জমা পড়েন তিনি। এক বল পরেই মিয়ানি স্মিতকে নিজের বলে ক্যাচ বানিয়ে নিজের তৃতীয় শিকার ধরেন এই লেগি। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

ম্যাচ জেতানো দারুণ জুটিতে সেই চাপ সামাল দেন ম্যাডিসন  ও মেসো। প্রয়োজনের সময় বাউন্ডারি বের করে বাংলাদেশের বোলারদের হতাশ করতে থাকেন তারা। ৬৪ বলে দুজনের জুটিতে আসে ৭০ রান। দলকে একদম জয়ের কিনারে নিয়ে আউট হন ম্যাডিসন। ৭ বল আগে কাজ সেরে নিতে সমস্যা হয়নি মেসোর।

টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে বাংলাদেশের দুই ওপেনার আফিফা প্রত্যাশা ও মিষ্টি সাহা ঠিকমতো ডানা মেলতে পারছিলেন না।

পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে বাউন্ডারির খোঁজে গিয়ে কিছু চার পেলেও চাহিদা মিটছিল না তাদের। রানরেটের গতি ছিল বেশ মন্থর। পঞ্চম ওভারে জেম্মা বুথার ফুলটস বল উড়াতে গিয়ে মিষ্টি ধরা দেন মিড অনে।

১৪ বল খেলে এই ব্যাটার থামেন ১২ রানে। আরেক দলের অন্যতম বড় ভরসা প্রত্যাশা তিন চার বের করলেও তার ডট বলের চাপ কমাতে পারছিলেন না। উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৪ রানে একবার জীবনও পান তিনি।

তিনে নেমে দিলারা আক্তারও গতি আনতে পারছিলেন না। চাপমুক্ত হওয়ার ফুরসত পাচ্ছিলেন না প্রত্যাশা। অফ স্পিনার রেইনেকের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে লাইন মিস করে বোল্ড হয়ে যান অস্থির হয়ে। ৩৩ বলে তিনি করেন ২১ রান।

আগ্রাসী ব্যাটার স্বর্ণা আক্তার ক্রিজে গিয়ে সচল হয়েছিলেন। থিতু হতেও দেরি হয়নি তার। তবে ঝড় তুলার আগেই থামতে হয় তাকেও। রেইনেকের শিকার হয়ে ফেরার আগে দুই চারে ১৮ বলে ২০ করেন তিনি।

তার আগে সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে ৩১ রানের একটু জুটি আনেন তিনি। স্বর্ণার বিদায়ের পর দলকে তিন অঙ্ক নেওয়ার কারিগর সুমাইয়া। ২৮ বলে ২৪ রান করে তিনি থামেন মিয়ানে স্মিতের বলে। উইকেট মন্থর ঘরানার হলেও স্রেফ ১০৬ রানের পুঁজি নিয়ে আর খেলা জেতা সম্ভব হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

7h ago