নেইমার-এমবাপেহীন ম্যাচে পিএসজির জয়ে মেসির গোল
চোটের কারণে মাঠে ছিলেন না নেইমার জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপে। শুরুর দিকে গোল হজম করায় চাপ আরও জেঁকে বসল পিএসজির ওপর। তবে হাল না ছেড়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ হাসি হাসল ক্রিস্তফ গালতিয়ের শিষ্যরা। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের জয়ে লক্ষ্যভেদ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন লিওনেল মেসি।
শনিবার রাতে লিগ ওয়ানের ম্যাচে ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে তুলুজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জিতেছে পিএসজি। ব্রাঙ্কো ফন ডেন বুমেনের গোলে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। প্রথমার্ধের শেষদিকে তাদেরকে সমতায় ফেরান মরোক্কান ডিফেন্ডার আশরাফি হাকিমি। আর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে জয়সূচক গোলটি আসে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসির পা থেকে।
শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে ২২ ম্যাচে প্যারিসিয়ানদের এটি ১৭তম জয়। ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে। এক ম্যাচ কম খেলে দুইয়ে অবস্থান করছে মার্সেই। পিএসজির চেয়ে ৮ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে তারা। তিনে থাকা লেঁসের অর্জন ২১ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট।
ম্যাচে ৬১ শতাংশ সময়ে বল দখলে রাখে গালতিয়ের দল। প্রতিপক্ষের গোলমুখে ২২টি শট নিয়ে তারা লক্ষ্যে রাখে পাঁচটি। সফরকারী তুলুজও সমানসংখ্যক শট লক্ষ্যে ছিল। তবে তারা পিএসজির গোলমুখে শট নেয় ১৪টি।
ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার ও ফরাসি স্ট্রাইকার এমবাপের পাশাপাশি চোটের কারণে খেলতে পারেননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোস। ম্যাচের ১৪তম মিনিটে আরেক ধাক্কা খায় পিএসজি। প্রতিপক্ষের কড়া চ্যালেঞ্জে চোখে জল নিয়ে মাঠ ছাড়েন রেনাতো সানচেস।
ছয় মিনিট পরই গোল হজম করে বসে স্বাগতিকরা। তুলুজের ফন ডেন বুমেনের বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি-কিক জালে জড়ায়। তাকিয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার।
৩৪তম মিনিটে গোল পেতে পেতেও পায়নি পিএসজি। মেসির কর্নারে কাছের পোস্টে মাথা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন মার্কুইনহোস। বল দূরের পোস্টে বাধা পেয়ে ফিরে আসে। খুব কাছ থেকে আলগা বল উড়িয়ে মেরে সুযোগ হাতছাড়া করেন দানিলো পেরেইরা। দুই মিনিট পর তুলুজের জাকারিয়া আবুখলাল বল জালে পাঠালেও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়।
দারুণ এক গোলে লড়াইয়ে সমতা আসে ৩৮তম মিনিটে। কার্লোস সোলারের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ে বাঁকানো শট নেন হাকিমি। তাতে পরাস্ত হন গোলরক্ষক ম্যাক্সিম দুপে।
বিরতির পর চাপ আরও বাড়ায় স্বাগতিকরা। ফল তারা পায় ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে। হাকিমির কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে আচমকা বাঁ পায়ে শট নেন মেসি। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি দুপে। ৭৬তম মিনিটে মেসির আরেকটি প্রচেষ্টা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দুই দলই পায় গোলের সুযোগ। তৃতীয় মিনিটে দোন্নারুমা ফিরিয়ে দেন অ্যান্থনি রুয়োর নিচু শট। পরের মিনিটে মেসি হন দুর্ভাগ্যের শিকার। তার শট লাগে পোস্টে।
Comments