ফরাসি কাপ থেকে বিদায় পিএসজির
চোটের কারণে ছিলেন না দলের অন্যতম সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপে। তার অভাব ভালোভাবেই স্পষ্ট হয়ে উঠল ম্যাচে। একজন স্ট্রাইকারের অভাব টের পেল তারা। তাতে অনেক সুযোগ তৈরি করেও ফরাসি ক্লাব থেকে বিদায় নিল ফরাসি চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
বুধবার রাতে পার্ক দি প্রিন্সেসে ফরাসি কাপের শেষ ষোলোর ম্যাচে মার্সেইর কাছে ২-১ গোলের ব্যবধানে হেরেছে লিওনেল মেসি-নেইমাররা। দলের হয়ে একটি করে গোল পেয়েছেন আলেক্সিস সানচেজ ও রুসলান মালিনোভস্কি। পিএসজির হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সের্জিও রামোস।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে খেলতে থাকে দুই দল। চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো পিএসজি। নেইমারের বাড়ানো বলে নুনো মেন্দেসের শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান মার্সেই গোলরক্ষক পাও লোপেজ।
দশম মিনিটে সেই মেন্দেসের দারুণ ব্লকে রক্ষা পায় পিএসজি। ১৬তম মিনিটে মালিনোভস্কির শট ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুমা। ৩১তম মিনিটে এগিয়ে যায় মার্সেই। সফল স্পট কিক থেকে গোল আদায় করে নেন সানচেজ। চেঙ্গিস আন্দারকে ডি-বক্সে রামোস ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
৩৮তম মিনিটে লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দুই মিনিট পর সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয় দুর্ভাগ্যের কারণে। মেসির পাস থেকে নেইমারের বাঁকানো শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে।
পাল্টা আক্রমণ থেকে সুযোগ ছিল মার্সেইরও। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সমতা ফেরায় পিএসজি। নেইমারের নেওয়া কর্নার কিক থেকে লাফিয়ে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন রামোস।
৫৭তম মিনিটে আবারও ব্যবধান বাড়ায় মার্সেই। অবশ্য এই গোলে দায় রয়েছে পিএসজির রক্ষণভাগের। নিজেদের অর্ধে থ্রো-ইনে জটলায় বল পেয়ে যান সানচেজ। তার শট একজন ফেরালেও আলগা বলে বুলেট গতির শটে জাল খুঁজে নেন মালিনোভস্কি।
সমতায় ফিরতে এরপর মার্সেইকে চেপে ধরে পিএসজি। তবে তাদের একের পর এক আক্রমণ দারুণ দৃঢ়তায় ঠেকিয়ে দেয় মার্সেই। অসাধারণ কিছু সেভ করেন গোলরক্ষক লোপেজ।
দুর্ভাগ্যও সঙ্গী হয় পিএসজির। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মেন্দেসের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। আলগা বলে শট নিয়েছিলেন রামোস। বল জালে পাঠালেও অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।
পরের মিনিটে মেসির ক্রস থেকে ফাঁকায় হেড নিয়েছিলেন রামোস। কিন্তু গোলরক্ষক বরাবর থাকায় সহজেই ফেরান লোপেজ। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের।
Comments