খরা কাটিয়ে ২০১৯ সালের পর কোহলির টেস্ট সেঞ্চুরি
ক্যারিয়ারের ২৭তম টেস্ট সেঞ্চুরিটি বিরাট কোহলি করেছিলেন ২০১৯ সালের নভেম্বরে। এরপর তিন বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও তিন অঙ্কের দেখা পাচ্ছিলেন না। অবশেষে খরা কাটিয়ে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফের শতরানের স্বাদ নিলেন তিনি।
রোববার আহমেদাবাদ টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে ২৮তম টেস্ট সেঞ্চুরির স্বাদ নেন কোহলি। অস্ট্রেলিয়ার অফ স্পিনার নাথান লায়নের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ব্যক্তিগত মাইলফলক স্পর্শ করেন ভারতের তারকা ব্যাটার।
দেশের মাটিতে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগের টেস্ট সেঞ্চুরিটি করেছিলেন কোহলি। এরপর লম্বা সময় ধরে শতরান পাওয়া হচ্ছিল না তার। এই মাপের একজন ব্যাটারের ক্ষেত্রে এটি ছিল রীতিমতো বিস্ময়কর ব্যাপার। ৪১ ইনিংস পর অবসান ঘটল ৩৪ বছর বয়সী তারকার ব্যর্থতার বৃত্তের।
বহুল প্রতীক্ষিত সেঞ্চুরির পর বাঁধভাঙা উল্লাস করতে দেখা যায়নি কোহলিকে। সিঙ্গেল পূর্ণ করার পর হেলমেট খুলে ব্যাট সামান্য উঁচিয়ে ধরেন তিনি। সেসময় তার ঠোঁটে ছিল মৃদু হাসির রেখা। এরপর জার্সির ভেতরে থাকা লকেট বের করে তাতে চুমু আঁকেন। উদযাপনে প্রকাশ না পেলেও সেঞ্চুরিটি কোহলির জন্য যে ভীষণ স্বস্তির তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আগের দিন কোহলি শেষ করেছিলেন ৫৯ রান নিয়ে। হাফসেঞ্চুরি পূরণ করার জন্য তাকে খেলতে হয়েছিল ১০৭ বল। এদিনও সতর্কতা দেখান তিনি। ধৈর্যের ছাপ রেখে ব্যাটিংয়ে দেখান নিয়ন্ত্রণও। যদিও তার সামর্থ্য অনুসারে দর্শনীয় সব শটের পসরা দেখা যায়নি। তিনি সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ২৪১ বল। সেসময় তার নামের পাশে চার ছিল মাত্র পাঁচটি।
কোহলি কেবল সেঞ্চুরি পেতেই ভুগছিলেন এমন নয়। রান পেতেই সংগ্রাম করতে হচ্ছিল তাকে। মাঝের সময়টায় ৪১ ইনিংসে তিনি মাত্র ছয়বার ছুঁতে পারেন ফিফটি। গত বছরের জানুয়ারিতে কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৯ রানের ইনিংসটি ছিল তার সর্বোচ্চ। এবার সেই দুঃসময় পেরিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিলেন তিনি।
Comments