সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায়নি ভোক্তা অধিকার
রাজধানীর সুলতান'স ডাইন রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির মাংসের বদলে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ সোমবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ মার্চ সুলতান'স ডাইনের গুলশান-২ শাখায় সরেজমিনে তদন্ত করা হয়। আজ ১৩ মার্চ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এর জিএম, এজিএম ও ওই শাখার ম্যানেজার শুনানিতে উপস্থিত হয়ে মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য দেন।
সরেজমিনে তদন্ত ও অভিযুক্তের মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য পর্যালোচনার পর যেসব তথ্য পাওয়া গেছে সেগুলো হলো- সুলতান'স ডাইন কাপ্তান বাজারের মা-বাবার দোয়া গোস্ত বিতান নামের ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির মাংস সংগ্রহ করে। কাপ্তান বাজারে খাসি জবাই করার সময় সুলতান'স ডাইনের প্রতিনিধি মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকেন। ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে মাংস অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে মাংস পৌঁছায়। ১ মার্চ অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মানেজার মৌখিকভাবে ১৫০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহের কথা জানান। যদিও ভেন্ডর ১২৫ কেজি সরবরাহের কথা জানান।
যে চিকন হাড়ের ব্যাপারে সন্দেহ তৈরি হয়েছে সেটির বিষয়ে সুলতান'স ডাইন বলেছে, তারা ৭ থেকে ৯ কেজি ওজনের খাসির মাংস ব্যবহার করে। আকারে ছোট হওয়ায় এসব খাসির হাড় চিকন হয়।
এছাড়া, যে মোবাইল থেকে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল তা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
'সুলতান'স ডাইনের বিরুদ্ধে খাসির বদলে অন্য প্রাণীর মাংসের ব্যবহারের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ওই প্রতিষ্ঠানকে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেওয়া যেতে পারে', বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
Comments