‘শেখ হাসিনাকে দিতে পারে এমন কোনো চাপ নেই, এটা মাথায় রাখতে হবে’

কাতার সফর নিয়ে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে।

কাতারে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে আজ সোমবার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয় আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আন্তর্জাতিক চাপ আছে কি না। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো চাপ নেই যেটা শেখ হাসিনাকে দিতে পারে। এটা মাথায় রাখতে হবে। আমার একমাত্র শক্তি জনগণ। ওপরে আল্লাহ আছে আর আমার বাবার আশির্বাদের হাত আমার মাথার ওপরে আছে। কাজেই কে কী চাপ দিলো না দিলো এতে কিছু আমাদের আসে যায় না। জনগণের স্বার্থে যেটা করার আমরা সেটাই করব, জনগণের কল্যাণে যে কাজ করার সেটাই করব।'

একজন ব্যাংকের এমডিকে তার স্বপদে রাখতে একটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চাপ থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমডি পদে কি মধু তা আমি জানি না। আইন অনুযায়ী তার বয়স ৬০ পেরিয়ে ৭০ হয়ে যাওয়ার পরও এমডি পদে থাকতে হবে। এমডি পদে থাকলে হয়ত মানি লন্ডারিং করা যায়, পয়সা বানানো যায়, পয়সা মারা যায়, গরিবের রক্ত চুষে খাওয়া যায়। সেই চাপও শেখ হাসিনা সহ্য করে চলে এসেছেন। নিজের টাকায় পদ্মা সেতু বানিয়ে দেখালাম সেই চাপে আমাদের কিছু আসে যায় না।

নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে ৪০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা বিবৃতি না, এটা একটা অ্যাডভার্টাইজমেন্ট।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যে ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে এবং সেটা আমাদের বিশেষ একজন ব্যক্তির পক্ষে, এর উত্তর কী দেব জানি না, তবে আমার একটা প্রশ্ন আছে, যিনি এত নামী-দামী, নোবেলপ্রাইজ প্রাপ্ত, তার জন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দিতে হবে কেন? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়।'

'তিনি যেই হোক, আমার দেশে কতগুলো আইন আছে, সেই আইন অনুযায়ী সব চলবে এবং সেটা চলে। আমাদের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমরা শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ করি। যারা ট্যাক্স ঠিকমতো দেয় সেটা দেখার আলাদা বিভাগ আছে, ট্যাক্স আদায় করে। কেউ যদি এখন এসব বিষয়ে কোনোরকম আইন ভঙ্গ করে বা শ্রমিকদের কোনো অধিকার কেড়ে নেয়, শ্রম আদালত আছে সেটা দেখে, এ ক্ষেত্রে সরকার প্রধান হিসেবে আমার তো কোনো কিছু করার নেই', যোগ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, 'কাজেই এখানে আমাকেই বা কেন বলা হলো। এর বাইরে আমি আর কী বলব। পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি। এইটুকু শুধু সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিলাম।'

Comments

The Daily Star  | English

Students, teachers call for JnU 'shutdown'

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

2h ago