প্রতারণার মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের ২ বছরের কারাদণ্ড

হেলেনা জাহাঙ্গীর। ছবি: সংগৃহীত

প্রতারণার মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনকে ২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামিরা হলেন—জয়যাত্রা আইপিটিভির মহাব্যবস্থাপক হাজেরা খাতুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান, সমন্বয়ক সানাউল্ল্যাহ নূরী ও নিজস্ব প্রতিবেদক মাহফুজ শাহরিয়ার।

আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জ্বল হোসেন ৩ আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

এ সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর অনুপস্থিত ছিলেন। আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করে তার আইনজীবী জানিয়েছেন, তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তার সুগার লেভেল খুব বেশি থাকায় তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। আরেক আসামি হাজেরা খাতুনও রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

বিচারিক আদালত তার জামিন বাতিল করে পলাতক ঘোষণা করেন এবং তার অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন আত্মসমর্পণ করলে বা তাদের গ্রেপ্তার করার দিন থেকে তাদের শাস্তি কার্যকর শুরু হবে।

এর আগে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

গত বছরের ১৮ এপ্রিল আদালত হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক ও এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন।

ওই বছরের ২ আগস্ট জয়যাত্রা টিভির ভোলা জেলার প্রতিনিধি আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

মামলার নথি অনুযায়ী, জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দিতে হেলেনা তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। নিয়োগ পাওয়ার পরে তুহিন কয়েক মাস কাজ করলেও তাকে বেতন দেয়নি কর্তৃপক্ষ। বরং প্রতি মাসে তার কাছ থেকে ৩ হাজার করে টাকা নিয়েছে।

২০২১ সালের ২৯ জুলাই ঢাকার গুলশান এলাকায় অভিযান চালিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করে। ওই বছরের নভেম্বরে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

Comments