প্রিমিয়ার লিগে ফিরে তামিমের সেঞ্চুরি
সময়টা ভালো যাচ্ছিল না অনেক দিন ধরেই। তবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সে ধারা ধরে রাখলেন প্রিমিয়ার লিগে ফিরেও। সেঞ্চুরি করে প্রাইম ব্যাংককে জিতিয়েছেন তিনি। অথচ গতকাল রাতেই ফিরেছেন সিলেট থেকে।
শুক্রবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে তামিমের সেঞ্চুরিতে ভর করে মোহামেডানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪২ ওভারে ১৯৯ রান করে গুটিয়ে যায় মোহামেডান। জবাবে ৪৭ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় প্রাইম ব্যাংক।
আগের দিনই সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। শেষ ওয়ানডেতে ১০ উইকেটের জয়ের দিনে হার না মানা ৪১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তামিম। তবে সে ম্যাচে বেশ সাবলীল ব্যাট করতে দেখা যায় তাকে। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনেও নিজেকে ফিরে পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
লক্ষ্য ছোট হওয়ায় এদিন অবশ্য শুরু থেকে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন প্রাইম ব্যাংকের দুই ওপেনার তামিম ও অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। ৭২ রানের জুটি গড়ে আউট হন অধিনায়ক। জুটি ভাঙার পর দ্রুত নাসির হোসেন ও ইয়াসির আলীকেও হারায় দলটি। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাকি কাজ শেষ করেন তামিম।
শেষ পর্যন্ত ১৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তামিম। মারেন ১২টি চার। তামিমের মতো আগের দিনই সিলেট থেকে ফেরা মুশফিক খেলেছেন ৫৭ বলে হার না মানা ৩৯ রানের ইনিংস। মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মোহামেডানের কোনো ব্যাটারই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। অথচ সেট হয়েছিলেন প্রায় সব ব্যাটারই। ফলে সাদামাটা স্কোর নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে। সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে অংকনের ব্যাট থেকে। ২৬ রান করেন শুভাগত হোম। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে নাসির ৩টি এবং রুবেল ও তাইজুল পান ২টি করে উইকেট।
দিনের অপর ম্যাচে সাভারের বিকেএসপিতে ফজলে মাহমুদের সেঞ্চুরিতে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে বৃষ্টি আইনে ১১ রানে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। প্রথমে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ২৮৭ রান করে দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বৃষ্টির কবলে পড়লে ২৯ ওভারে ২০৭ রানের লক্ষ্য পায় ব্রাদার্স। তবে ২৭.৪ ওভারে ১৯৫ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ১১৬ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলেন ফজলে রাব্বি।
বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত অপর ম্যাচে অমিত হাসানের সেঞ্চুরির পরও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে হেরেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। আগে ব্যাট করে ৪৭.৩ ওভারে ২০৭ রান করে গুটিয়ে যায় তারা। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বৃষ্টির কারণে ৩৬ ওভারে ১৬৮ রানের লক্ষ্য পায় রূপগঞ্জ। ৭ বল হাতে রেখেই জয় পায় দলটি।
Comments