মেন্টরের কাজ কী, জানেন না মাশরাফি
হুট করেই বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছিলেন তামিম ইকবাল। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একদিনের মধ্যে আবার ফিরেও আসেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনের সময় বিশ্বকাপে দলের সঙ্গে মেন্টর হিসেবে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে চেয়ে বসেন তামিম। এ নিয়ে তখন থেকেই চলছে নানা চর্চা। তবে মেন্টরের কাজটা কী, সেটাই জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন মাশরাফি।
বুধবার ডেফোডিল ইউনিভার্সিটির একটি প্রোগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাশরাফি। সেখানে এক প্রশ্নের উত্তরে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, 'মেন্টরে কী লাভ হয়? আমাকে একটু বলতে পারবেন? আমি জানি না, ও (তামিম) কেন চাচ্ছে! মেন্টর জিনিসটা তো... অন্য জিনিস। মেন্টরের কাজটা কী আমি জানি না।'
তবে দল যদি প্রয়োজন মনে করে তাহলে ভেবে দেখবেন তিনি, '(দলের প্রয়োজনে) সেরকম পরিস্থিতি এলে, সেরকম হলে তখন বলা যাবে। এখন এই মুহূর্তে আমাকে প্রশ্ন করলে, এর উত্তর নেই। এখানে আমি কী উত্তর দেব? যদি সেরকম কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয় ভবিষ্যতে, সেরকম কিছু হয়, তখন আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলা যাবে। এই মুহূর্তে আমি তো ওরকম কিছু দেখি না।'
তবে তামিমের চাওয়া অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী যদি তাকে মেন্টর থাকতে বলেন সেক্ষেত্রে তার আদেশ মানতে বাধ্য বলে জানান মাশরাফি, 'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিছু চাইলে সেটা ভিন্ন জিনিস। সেটার সাথে তর্কে যাওয়ার বা কথা বলার সুযোগ নেই।'
বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী মেন্টর হওয়া নিয়ে কোনো কথা বলতে চাননি এই ক্রিকেটার, 'এই মুহূর্তে আমি আপনাদের কী বলতে পারি। আমি কিছুই বলতে পারি না। কালকে কী পরিস্থিতি হবে, সেটা আমরা কেউ জানি না। সেরকম কোনো কিছু ঘটলে তখন দেখা যাবে। এই মুহূর্তে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, দল ভালো থাকা, দল ভালো খেলা। যেটা আমরা সবাই আশা করছি।'
ভবিষ্যতের ভাবনা এখনই ভাবতে চান তিনি, 'আমার কোনো মাইন্ড সেট-আপ নেই। আমি আগেও বলেছি, আমার এরকম কোনো মাইন্ড সেট-আপ নেই। আপনারা যে প্রশ্ন করছেন, এই প্রশ্নের উত্তরও নেই আমার কাছে। তো আমি কোনো কিছু জানি না। আমার বর্তমানে কী কাজ সেইটা শুধু জানি। কালকে যেটা কাজ আসবে, সেটা করব। পরশু দিনের কথা বলা বা কালকের চিন্তা করার এখন আমার সময় নেই।'
এর আগে ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত দলের মেন্টর হিসেবে ছিলেন ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। প্রতিপক্ষ বুঝে তার অভিজ্ঞতা থেকে পরিকল্পনা সাজানোই ছিল তার প্রধান কাজ। এছাড়া সাবেক সতীর্থদের খোশ মেজাজে রেখে আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও ভূমিকা রাখেন তিনি। যদিও শেষ পর্যন্ত শতভাগ সফল হয়নি তারা।
Comments