মাঠে নামতেই আবার বৃষ্টি

৩৩.৪ ওভার শেষে আবারও নেমেছিল বৃষ্টি। তবে খুব বেশিক্ষণ থাকেনি। ফলে কভার সরিয়ে ম্যাচ শুরুর চলছিল প্রস্তুতি। মাঠ পরিচর্যা শেষে দুই দলের খেলোয়াড় ও আম্পায়াররা মাঠেও নেমেছিলেন। কিন্তু ঠিক সে মুহূর্তে আবার নামে বৃষ্টি। যে কারণে আবারও ঢেকে ফেলা হয় উইকেট।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করছে নিউজিল্যান্ড। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৩.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছে সফরকারী দলটি। টম ব্লান্ডেল ও কোল ম্যাককঙ্কি দুইজনই ৮ রানে ব্যাট করছেন। 

এদিন ইনিংসের ৪.৩ ওভার খেলা হতেই বাগড়া দেয় বৃষ্টি। তাতে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ফের মাঠে গড়ায় ম্যাচটি। তবে কমে আসে ম্যাচের পরিধি। আট ওভার কেটে ৪২ ওভারে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেন আম্পায়াররা। অবশ্য টস অনুষ্ঠিত হওয়ার ঠিক পরপরই হয়েছিল এক পলশা বৃষ্টি। তবে দ্রুতই থেমে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছিল ম্যাচটি।

বৃষ্টির আগে বাংলাদশের দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিবের বল দেখেশুনেই খেলছিলেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও ইয়ং। তবে বৃষ্টির পরপর স্পিনার আনে বাংলাদেশ। অপর প্রান্তে অবশ্য আক্রমণে থাকেন মোস্তাফিজ। পরের ওভারেই পান সাফল্য।

অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ভাঙেন কিউইদের ওপেনিং জুটি। তার লেন্থে থাকা বল অ্যালেনের (৯) ব্যাটের কানায় লাগলে ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান। এর পরের ওভারে আবারও প্রায় একই ধরণের ডেলিভারিতে এবং একই ঢঙ্গে চাড বয়েসের (১) উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। এবার অবশ্য তার ক্যাচ ধরতে খুব একটা বেগ পেটে হয়নি সোহানকে।

এরপর হেনরি নিকোলসকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ইয়ং। গড়েন ৯৭ রানের দারুণ এক জুটি। তাতেই বড় স্কোরের স্বপ্ন দেখতে থাকে সফরকারীরা। এই জুটিও ভাঙেন মোস্তাফিজ। ২৮তম ওভারে ফের বোলিংয়ে এসে নিকোলসকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন এই পেসার। তার লেন্থ বলে খেলতে গিয়ে লাইন মিস করলে আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন নিকোলস। তবে লাভ হয়নি। ৫৭ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করেন তিনি।

তবে ১৬তম ওভারে ভাঙতে পারতো এই জুটি। তানজিম হাসান সাকিবের বলে পরাস্ত হয়েছিলেন ইয়ং। এলবিডাব্লিউর জোরালো আবেদন হয়েছিল। আম্পায়ার সাড়া দেননি। তবে রিভিউ নিলে সফল হতে পারতেন তারা। রিপ্লেতে দেখা গিয়েছে আউট হতেন এই ওপেনার। তখন ১৮ রানে ব্যাট করছিলেন ইয়ং।

তবে নিকোলস ফিরে যাওয়ার পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ইয়ং। ৩০তম ওভারে তাকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে ফেরান নাসুম। কিছুটা এগিয়ে খেলতে গিয়ে তার ফ্লাইটেড ডেলিভারি বাঁক নিলে লাইন মিস করেন ইয়ং। তড়িৎ গতিতে বল ধরে স্টাম্প ভাঙেন উইকেটরক্ষক সোহান। ৯১ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন ইয়ং। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস।

একই ওভারে রাচিন রবীন্দ্রকে ফেরান নাসুম। তাকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। নিজের দ্বিতীয় বলেই সুইপ করতে গিয়েছিলেন রাচিন। তবে নাসুমের আরও একটি ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে বাঁকের মুখে লাইন মিস করলে লাগে প্যাডে। জোরালো আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নিলে বাংলাদেশের পক্ষেই যায় সিদ্ধান্ত। এরপর ৩৩.৪ ওভার পর আবারও মাঠে নামে বৃষ্টি।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

39m ago