সাকিব কি তামিমকে চেয়েছেন, এমন প্রশ্নে নিশ্চুপ নির্বাচকরা
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ দলের সেরা ওপেনার তামিম। পরিসংখ্যান এবং সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য ওপেনারদের পারফরম্যান্সও তাই বলে। সেই খেলোয়াড়কে বাদ দিয়ে ভারত বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে টাইগাররা। তাতে কিছুটা হলেও মনঃক্ষুণ্ণ হওয়ার কথা দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। এমনকি তাকে দলে নেওয়ার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাও করার কথা তার।
কিন্তু গতকাল থেকেই উল্টো গুঞ্জন ভাসতে থাকে ক্রিকেট মহলে। 'আনফিট' তামিমকে দলে নেওয়া হলে বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব তো দূরের কথা খেলতেই যাবেন না সাকিব। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশের দল ঘোষণার পর সেই বিষয়টি উঠে আসে নির্বাচকদের সংবাদ সম্মেলনে। জানতে চাওয়া হয় তামিমের ব্যাপারে সাকিবের মতামত কী ছিল। কিন্তু বরাবরই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন নির্বাচকরা।
মঙ্গলবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ৭ উইকেটের বাংলাদেশের বড় ব্যবধানে হারের পরপরই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এর কিছুক্ষণ পরই সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং অপর দুই নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক।
এদিন এদিন প্রায় ১৫ মিনিটের এই সংবাদ সম্মেলনের পুরোটা জুড়েই ছিল তামিমের প্রসঙ্গ। তাকে বাদ দেওয়ার কারণ এবং টিম ম্যানেজমেন্ট বিশেষ করে অধিনায়ক সাকিব ও প্রধান কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহের অবস্থান জানতে চাওয়া হয়। প্রতিবারই ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে একই উত্তর দিয়েছেন মিনহাজুল। তুলে আনেন তামিমের ইনজুরির প্রসঙ্গ।
সাকিব ও হাতুরুর অবস্থান প্রসঙ্গে বারবারই মিনহাজুল বলেন, 'ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে পুরোপুরি আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সবাই যখন একসঙ্গে বসি একসঙ্গেই আলোচনাটা হয়। আমাদের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কি আলোচনা হয় সেটা তো এখানে খোলাসা করতে পারবো না। আমাদের মধ্যে কি আলোচনা হয় সেটা তো বলতে পারবো না।'
তামিমকে বাদ দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, 'তামিম ইকবালের অনেক দিন ধরেই ইনজুরি শঙ্কা। আপনারাও জানেন, ও ইনজুরি নিয়ে ফাইট করছিল। নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে ফিটনেস ফিরে পেয়েছে। প্রথম ম্যাচ খেলার পর একটা কমপ্লেইন এসেছে। সব মিলিয়ে সবকিছু বিবেচনা করে, ওর ফিটনেসের কথা চিন্তা করে, ইনজুরির যে কনসার্ন আছে এটা নিয়ে চিন্তা করেই ওকে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে রাখা হয়নি।'
অথচ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের আগে তামিম বাদ পড়তে পারেন এমন কোনো আলোচনাই ছিল না। সে ম্যাচ শেষে অস্বস্তির কথা জানিয়েছিলেন তামিম। শেষ ওয়ানডে থেকে বিশ্রামও নেন। ঠিক তেমনি বিশ্বকাপ দলে থাকলেও বিশ্রাম দিয়েই তাকে খেলাতে হবে তা জানিয়ে দেন এই ওপেনার। তখনই নড়েচড়ে বসে টিম বিসিবি।
Comments