প্রস্তুতি ম্যাচে রান পেলেন তানজিদ-লিটন-মিরাজ

তামিম ইকবালকে বিশ্বকাপ দলে না নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক এখনও চলমান। সাম্প্রতিক সময়ে ওপেনারদের টানা ব্যর্থতায় তাকে নেওয়ার জোর দাবি ক্রিকেট মহলে। তার পরিবর্তে অনভিজ্ঞ তানজিদ হাসান তামিমের উপর ভরসা করে টিম ম্যানেজমেন্ট। আর এই তরুণকে নেওয়ার সিদ্ধান্ত যে ভুল হয়নি তা প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। দারুণ এক ফিফটি তুলে নিয়েছে। তার সঙ্গে রান পেয়েছেন অফ ফর্মে থাকা লিটন কুমার দাসও। রান এসেছে মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাট থেকেও।

শুক্রবার গুয়াহাটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২৬৩ রানে গুটিয়ে যায় লঙ্কানরা। জবাবে ৪৮ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছায় টাইগাররা।

এদিন নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান রেখেই খেলতে নামে বাংলাদেশ। অনুশীলনে চোট পাওয়ায় তাকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নেয়নি তারা। তবে তাকে ছাড়া দারুণ খেলেছে টাইগাররা। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই জ্বলে দলটি। লক্ষ্য তাড়ায় দুই ওপেনার লিটন ও তানজিদের ব্যাটেই আসে ১৩১ রানের জুটি। লিটনের বিদায়ে এই জুটি ভাঙলে মিরাজের সঙ্গে ৫২ রানের আরও একটি জুটি গড়েন তানজিদ। এরপর অবশ্য দ্রুত দুই উইকেট হারায় টাইগাররা। তবে মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে বাকি কাজ সহজেই শেষ করেন মিরাজ।

তবে এদিন সবার নজর ছিল দুই টাইগার ওপেনারদের দিকেই। পাঁচটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচে সর্বসাকুল্যে ৩৪ রান করা তানজিদ এদিন তুলে নিয়েছেন দারুণ এক ফিফটি। জাগিয়েছিলেন সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও। তবে সজোরে ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে চারিথ আসালাঙ্কার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়েছে। তবে এর আগে ৮৮ বলে খেলেছেন ৮৪ রান। নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১০টি চার ও ২টি ছক্কায়। দৃষ্টি ছিল লিটনের দিকেও। সাম্প্রতিক সময়ে ধুঁকছিলেন এই ব্যাটার। ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৫৬ বলে ১০টি চারের সাহায্যে ৬১ রানের ইনিংস খেলে দুশান হেমন্থের শিকার হন তিনি।

নাজমুল হোসেন শান্ত না থাকায় তিনে নেমে ফিফটি পেয়েছেন মিরাজও। ৬৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় খেলেন হার না মানা ৬৭ রানের ইনিংস। ৪৩ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে খালি হাতে ফিরেছেন কেবল তাওহিদ হৃদয়। দুনিথ ভেলালাগের করা নিজের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।

এর আগে বোলিংয়ের শুরুটা ভালো না হলেও শেষ পর্যন্ত আশা জাগানিয়া বোলিং করেছেন টাইগার বোলাররা। বিশেষ করে দুই অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। ৯ ওভার বল করে ৩৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান শেখ মেহেদী। মিরাজ উইকেট ১টি পেলেও ১০ ওভারে খরচ করেন ৩২ রান। তবে নাসুম আহমেদ কিছুটা খরুচে ছিলেন। পেসারদের শুরুটা ভালো না হলেও পরের দিকে দারুণ বোলিং করেন। তাতে ৪৯.১ ওভারেই ২৬৩ রানে বেঁধে ফেলে লঙ্কানদের।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

47m ago