আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

নিখুঁত বোলিংয়ে ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ পাকিস্তান

অথচ এক সময় ২ উইকেটে ১৫৫ রান ছিল পাকিস্তানের

নিখুঁত বোলিংয়ে ভারতের কাছে নাস্তানাবুদ পাকিস্তান

ক্রিকেটবিশ্ব পাকিস্তানকে কী আর এমনিতে আনপ্রেডিক্টেবল বলে! দুই উইকেটে যেখানে দেড়শো পেরিয়ে গিয়েছিল, সেখানে কিনা দুইশরও কম রানে অলআউট। তবে ভারতীয় বোলাররাও কৃতিত্বের সবটুকু দাবি রাখেন। তাদের নিখুঁত বোলিং পারফর্ম্যান্সে পাকিস্তান অলআউট হয়ে গেছে ১৯১ রানেই।

আহমেদাবাদে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে সূচনাটা মনের মতো করতে পারেনি ভারত। প্রথম দুই ওভারেই চারটি চার পেয়ে বসে পাকিস্তান। মুভমেন্ট ছিল না মোটেও, যদিও এক প্রান্তে নিঁখুত লাইন-লেংথে বোলিং করে নিজের চার ওভারের স্পেলে ১৪ রানের বেশি দেননি বুমরাহ। সিরাজ শুরুতে লাইন নিয়ে ভুগেছেন, প্রথম তিন ওভারেই দিয়েছেন ২২ রান। এরপর ৮ম ওভারে এসে তার ক্রস-সিম ডেলিভারী কিছুটা লো হয়ে এলবিডাব্লিউ বানিয়ে ফেলে আব্দুল্লাহ শফিককে।

২০ রানে শফিক ফিরে যান। ৪১ রানে প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তান পাওয়ারপ্লে শেষ করে ৪৯ রানে। হার্দিক এসে খরুচে প্রমাণিত হন, প্রথম দুই ওভারে দিয়ে ফেলেন ১৮ রান। দুর্দান্ত ছন্দে ব্যাট করতে থাকেন ইমাম উল হক। কিন্ত হুট করেই ১৩তম ওভারে হার্দিকের ফুলার লেংথের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে আউট হয়ে যান ইমাম। ৩৬ রানের ইনিংসে ইমাম মারেন ছয়টি চার।

৭৩ রানে ইমামের বিদায়ের পর পাকিস্তানের সবচেয়ে ভরসার জুটি বাধেন বাবর-রিজওয়ান। দুজনেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন। কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজাও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানের চাকা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। ১৯তম ওভারে একশ পেরিয়ে যায় পাকিস্তান। তবে জাদেজা-কুলদীপের সামনে একটা সময় বাউন্ডারি খরার সাথে স্ট্রাইক বদলও নিয়মিত হচ্ছিল না পাকিস্তানের। ২৭ ওভারে ১৩১ রান আনতে পারে পাকিস্তান।

সিরাজ বোলিংয়ে এসেই এরপর ১৩ রানের খরুচে ওভার করেন। বাবর তার ফিফটি পূর্ণ করে ফেলেন ৫৭ বলেই। পাকিস্তান রানের চাকার গতি বাড়াতে শুরু, কিন্ত সেই সময় বেশি যেতে না যেতেই সিরাজ হাজির উইকেট নিয়ে। বাবরকে বোল্ড করে ফেলেন ৫০ রানেই।

৭৩ রানের জুটি ভেঙ্গে ভারত চেপে বসে পাকিস্তানের উপর। সৌদ সাকিলকে এলবিডাব্লিউ করে বিদায় দেন কুলদীপ, ইফতিখারের গ্লাভসে কুলদীপের গুগলি লেগে স্টাম্প ছুঁয়ে ফেলে। সাকিল-ইফতিখার দুজনেই এক অঙ্কে ফিরে গেলে ১৬৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেরার লড়াইয়ে নামে পাকিস্তান।

এদিকে বুমরাহকে ফেরান রোহিত, বুমরাহ হাজির হন ম্যাজিক নিয়ে। দুর্দান্ত অফ কাটারে রিজওয়ানকে ৪৯ রানেই থামিয়ে দেন। ধাক্কার সবে শুরু, পরের ওভারে এসে বুমরাহ ফিরিয়ে দেন শাদাব খানকে বোল্ড করে। নাওয়াজ-হাসান কেউ টিকেননি বেশিক্ষণ। শাহিন-হারিসও স্বাভাবিকভাবেই পারেননি বেশিদূর নিয়ে যেতে। শেষ আট উইকেট ৩৬ রানে হারিয়ে ৪৩ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। শুধু শার্দুল ঠাকুর দুই ওভার বল করে কোন উইকেট পাননি। বাকি সবাই প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। অলরাউন্ড বোলিং আক্রমণের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে বেরিয়ে আসে 'আনপ্রেডিক্টেবল' পাকিস্তান!

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

7h ago