ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে অনেকেই মানবাধিকারের কথা বলে: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান বলেছেন, অনেকে মানবাধিকার নিয়ে বক্তৃতা দেয় কিন্তু তারাই ইসরায়েলকে বোমা ও প্রাণঘাতী অস্ত্র দিচ্ছে, তাই তাদের এ নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস রামাদান। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান বলেছেন, অনেকে মানবাধিকার নিয়ে বক্তৃতা দেয় কিন্তু তারাই ইসরায়েলকে বোমা ও প্রাণঘাতী অস্ত্র দিচ্ছে, তাই তাদের এ নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই।

আজ শনিবার চট্টগ্রামের বাংলাদেশ উইমেন অ্যাসোসিয়েশন (বাওয়া) স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে ইংরেজি শেখার প্রতিষ্ঠান ইংলিশ ট্র্যাক আয়োজিত 'কল ফর হিউম্যানিটি' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম এবং জর্ডান, সিরিয়া ও ফিলিস্তিনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।

ইউসুফ এসওয়াই রামাদান বলেন, 'শিশু, নারী, নিরপরাধ মানুষ এমনকি গর্ভবতী নারীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এটা পশু হত্যার মতো... এমনকি যখন আমরা পশু হত্যা করি, আমরা তাদের জন্য অনুভব করি কিন্তু ইসরায়েলের বর্বরতা সব সীমা অতিক্রম করেছে।'

তিনি বলেন, 'আমরা আমাদের সন্তান, পিতামাতা এবং পরিবারকে হারাচ্ছি... ইতোমধ্যে ১৭ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগই শিশু। সেখানে বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, হাসপাতাল নেই। এটা শুধুই নরক। কিন্তু আমরা একা নই...আপনাদের মতো অনেক মানুষ সংহতি দেখাতে এসেছেন...ফিলিস্তিনের জনগণ আপনাদেরকে নিয়ে গর্বিত।'

তিনি বলেন, 'আমাদের জন্মের ওপর আমাদের কোনো হাত ছিল না। অন্তত একটি ব্যপারে আমাদের কোনো বিভেদ নেই—তা হলো—আমরা সবাই মানুষ। আমাদের মানবতা থাকা উচিত।'

নজরুল ইসলাম বলেন, ফিলিস্তিনিদের মুক্তিকে আমরা অন্তর থেকে সমর্থন করি। তাদের মুক্তি সংগ্রামকে সমর্থন করা আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতাও।

নাহিদা সোবাহন বলেন, 'ফিলিস্তিনে যা ঘটছে তার কারণ ধর্ম নয়। এটা দখলদারিত্বের বিষয়। এটা ১০৬ বছরের পুরনো গল্প।'

Comments