ইসরায়েলি হামলায় নিশ্চিহ্নের পথে রাফা

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই বারবার হামলার শিকার হয়েছে দক্ষিণ গাজার রাফা শহরটি। ফাইল ছবি: এএফপি
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই বারবার হামলার শিকার হয়েছে দক্ষিণ গাজার রাফা শহরটি। ফাইল ছবি: এএফপি

গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষে পূর্ব-আলোচনা অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়নি। হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে হয়নি কোনো ঐক্যমত্য। যার ফলে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে গাজার বিভিন্ন অংশে হামলার মাত্রা বড় আকারে বাড়িয়েছে ইসরায়েল, যার বড় একটি অংশ দক্ষিণ গাজার রাফা শহরকে লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে। কার্যত নিশ্চিহ্নের পথে রয়েছে এই গুরুত্বপূর্ণ শহরটি। 

গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকারের গণমাধ্যম কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফা অঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় 'পরিপূর্ণ মানবিক বিপর্যয় ও বড় আকারে ধ্বংসযজ্ঞ দেখা দিয়েছে, যা জীবনযাপনের সব ধরনের প্রক্রিয়াকে স্থিমিত করেছে।'

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা গাজার গণমাধ্যম কার্যালয়ের বরাত দিয়ে আরও জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী এখন রাফাকে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, তারা 'মোরাগ করিডর' নামে একটি অঞ্চল তৈরি করেছে, যার ব্যবহারে গাজা উপত্যকাকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হবে।

'[ইসরায়েল] নিরস্ত্র বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা চালাচ্ছে। পাশাপাশি নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবকাঠামো, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও আবাসিক ভবনগুলোকে পুরোপুরি ধ্বংস করছে, যা শহরটিকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে', বিবৃতিতে আরও জানানো হয়।

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই বারবার হামলার শিকার হয়েছে দক্ষিণ গাজার রাফা শহরটি। ফাইল ছবি: এএফপি
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শুরু থেকেই বারবার হামলার শিকার হয়েছে দক্ষিণ গাজার রাফা শহরটি। ফাইল ছবি: এএফপি

'ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অসংখ্য মানুষ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাদের প্রায় সকলেই নিজ নিজ বাড়ির ধ্বংসস্তুপ যাচাই করার জন্য ফিরে আসা বেসামরিক ব্যক্তি'। 

গণমাধ্যম কার্যালয় আরও জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী রাফা গভার্নোরেটের ৯০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে আছে ২০ হাজার ভবনে ৫০ হাজার অ্যাপার্টমেন্ট। পাশাপাশি, রাফার ২৪টি সুপেয় পানির কুপের মধ্যে ২২টিই ধ্বংস করা হয়েছে।

পয়নিষ্কাশন নেটওয়ার্কের ৮৫ শতাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে এবং আটটি স্কুল ও শিক্ষাভবন ধ্বংস হয়েছে।

কার্যালয় জানিয়েছে, ১২টি মেডিকেল সেন্টারের কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি ম্যাটারনিটি হাসপাতাল ও ইন্দোনেশীয় হাসপাতালও ধ্বংস হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
Domestic violence killing women in Bangladesh

Domestic violence in Bangladesh: When numbers speak of the silence

When we are informed that 133 women have been killed by their husbands in seven months, it is no longer just a number.

8h ago