তিনে নেমে ব্যর্থ তামিম, ইমন-শাহাদাতের সেঞ্চুরি
প্রথম ম্যাচে জ্বলে ওঠেনি তামিম ইকবালের ব্যাট। এদিন তো নামলেন তিন নম্বরে। কিন্তু ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেননি। তবে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়ে এদিন গর্জে ওঠে পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাট। তুলে নিয়েছেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন তার ওপেনিং পার্টনার শাহাদাত হোসেন দিপুও। দারুণ এক ক্যামিও ইনিংস খেলেন শেখ মেহেদী হাসানও।
বৃহস্পতিবার সাভারের বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৪৯ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৮০ রান করে তারা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ৪৯ ওভারে ৯ উইকেটে ২১৫ রানের বেশি করতে পারেনি ব্রাদার্স।
তবে এদিন টস জিতেছিল ব্রাদার্স। কিন্তু প্রাইম ব্যাংককে ব্যাটিংয়ে পাঠায় তারা। আর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দারুণ ব্যাটিংয়ে ওপেনিং জুটিতেই স্কোরবোর্ডে ৪৬ রান যোগ করেন ইমন ও শাহাদাত। দুই ব্যাটারই তুলে নেন সেঞ্চুরি। শাহাদাতকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ রাহী। এরপর মাঠে নামেন তামিম। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৬ রানে সালাউদ্দিন শাকিলের বলে ক্যাচ দেন রাহির হাতে।
এরপর ইমনকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন রাহী। তবে এর আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১২৯ বলের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও ৮টি ছক্কার মার। শাহাদাত করেন ১১৯ রান। ১১১ বলে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ছয় নম্বরে নেমে ১৭ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৫ রান শেখ মেহেদী। ব্রাদার্সের পক্ষে ৭০ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান রাহী।
জবাবে ওপেনার আব্দুল মজিদ ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই পারেননি ব্রাদার্সের দায়িত্ব নিতে। ওপেনিংয়ে নেমে ৭৬ বলে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন তিনি। যেখানে ছিল ৫টি চার ও ১টী ছক্কা। এছাড়া রহমতুল্লাহ আলী ৩৭ ও ইমতিয়াজ হোসেন ৩১ রান করেন। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন নাজমুল হোসেন অপু ও সানজামুল ইসলাম।
বিকেএসপিতে দিনের অপর ম্যাচে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৪৭ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৭ রান করেন শেখ জামাল। জবাবে ১৩ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করে শাইনপুকুর।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা শেখ জামালের হয়ে লড়াইটা করতে পেরেছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও সৈকত আলী। ৭০ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলেন সোহান। নিজের ইনিংসটি সাজান ৯টি চার ও ২টি ছক্কায়। ৭৫ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৬ রান করেন সৈকত। শাইনপুকুরের জাওয়াদ রোয়েন পান ৩টি উইকেট।
জবাবে খালিদ হাসান, মার্শাল আইয়ুব ও অধিনায়ক আকবর আলীর করা তিন ফিফটিতে সহজ জয়ই পায় শাইনপুকুর। ওপেনিংয়ে নেমে ৯৪ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন খালিদ। ৫২ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন আকবর। ৭০ বলে ৫৭ রান করেন মার্শাল। এছাড়া অপরাজিত ৩২ রান করেন ইরফান শুক্কুর।
Comments