উল্টো ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের মান নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুমিনুল

ছবি: ফিরোজ আহমেদ / স্টার

এইতো কিছুদিন আগের কথা, রঞ্জি ট্রফিতে না খেলার কারণে সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট থেকে বাদ পড়ে যান শ্রেয়াস আইয়ার ও ঈশান কিষানের মতো ক্রিকেটার। বিসিসিআইয়ের স্পষ্ট বার্তা, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলতেই হবে। অন্যদিকে ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটে বরাবরই অনুপস্থিত থাকেন বাংলাদেশের শীর্ষ তারকারা। তার প্রভাব বরাবরই পরে টেস্ট ক্রিকেটে। সেখানে দেশের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটের মান নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মুমিনুল হক।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে শ্রীলঙ্কার চেয়ে ২৪৩ রানে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৬৮ রান তুলতেই শীর্ষ সাত ব্যাটারকে হারিয়েছে তারা। বেড়িয়ে এসেছে লেজ। তাইজুল ইসলামকে নিয়ে পঞ্চম দিনে মাঠে নামবেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতে আরও একটি বড় হারের শঙ্কায় টাইগাররা।

এদিন বাংলাদেশের বেশির ভাগ ক্রিকেটারকেই দেখা গিয়েছে আগ্রাসী হতে। মনোযোগের ঘাটতিও ছিল স্পষ্ট। পার্ট টাইম স্পিনার কামিন্দু মেন্ডিসের নির্বিষ এক বলে অহেতুক খোঁচা মারতে গিয়েই আউট হন সাকিব আল হাসানের মতো অভিজ্ঞ তারকা। আউট হওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়াতেই বোঝা যায়, ভুল শট খেলে নিজেও বিরক্ত তিনি। অফস্টাম্পের বেশ বাইরে রাখা বাউন্সারে অযথাই খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন লিটন দাস। প্রায় সব ব্যাটারদেরই মনোযোগের ঘাটতি দেখা গিয়েছে।

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট না খেলার কারণেই এমনটা হচ্ছে কি-না জানতে চাইলে উল্টো এই আসরের মান নিয়ে প্রশ্ন করেন মুমিনুল, 'আমাদের ফার্স্ট ক্লাস খেলার মধ্যে কতটুকু মান? (আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে) একই লেভেলের আছে কি না।?

নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা করে বললেন, 'আমি চর্চার ভেতরে থাকি...আমার জন্য ও একজন জুনিয়র খেলোয়াড়ের মধ্যে তফাৎ আছে। আমি ৬১টা টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। এ কারণে ম্যাচের পরিস্থিতিগুলো আমি বুঝি, জানি আমি কোন সময় কিভাবে হ্যান্ডেল করতে হয়। কখনো পারি। কখনো পারি না। শুনতে খারাপ লাগবে। কিন্তু আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট ও টেস্ট ম্যাচ খেলার মধ্যে অনেক পার্থক্য। আকাশ পাতাল তফাৎ। আপনারাও জানেন। আমিও জানি। সবাই জানে। এটা অজুহাত নয়।'

তবে অন্য সব খেলোয়াড়রা না খেললেও নিয়মিত জাতীয় লিগে খেলেন মুমিনুল। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই জানান জাতীয় লিগে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জে পড়তে হয় না তাকে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে অনেক পার্থক্য জানিয়ে আরও বলেন, 'আমি নিজেও জাতীয় লিগ খেলি। আমি কোন ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয় না, এখানে যে ধরনের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয়। আমার কথা হয়তো অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু আমি সততার জায়গা থেকে কথাগুলো বলছি।'

এমনকি তরুণ খেলোয়াড়দের মধ্যে টেস্ট ক্রিকেটের প্রতি অনেক নিবেদন দেখেছেন তিনি, 'ওরা অনেক নিবেদিত। ওদের মধ্যে ক্ষুধা অনেক বেশি। (মাহমুদুল হাসান) জয় আর (শাহাদাত হোসেন) দিপু অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা খেলোয়াড়। চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড় হওয়া কিন্তু এত সহজ নয়। ওদের মধ্যে সেই নিবেদন সবসময় দেখি। ওরা সেট হয়ে আউট হওয়ার পরেও, ৫০ রান করে আউট হলে ড্রেসিংরুমে দেখলে বোঝা যায় আসলে ওর ক্ষুধা আছে কী নেই। এই জিনিসগুলো ওদের ভেতর আছে। ওদের নিবেদনে কোন সমস্যা নেই। ওরা যত টেস্ট খেলবে, ততো অভিজ্ঞ হবে, ততো ভালো খেলার সুযোগ বেশি থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago