টেন হাগের 'বিরাট অর্জন'

দ্বিতীয় স্তরের মাঝারী সারির দল কভেন্ট্রি সিটির বিপক্ষে এক পর্যায়ে তিন গোলের ব্যবধানে এগিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড

নির্ধারিত সময়ের তখন ২০ মিনিট বাকি। তিন গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু এরপর তিন গোল হজম করে অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে ম্যাচ গড়ায় টাই-ব্রেকারে। সেখানে কোনোমতে জয় তুলে এফএ কাপের ফাইনালে উঠেছে ইউনাইটেড। অথচ প্রতিপক্ষ ছিল দ্বিতীয় স্তরের মাঝারী মানের দল কভেন্ট্রি সিটি। এমন জয়ের পরও ইউনাইটেড কোচ এরিক টেন হাগ বললেন, 'বিরাট অর্জন।'

রোববার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে টাই-ব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে কভেন্ট্রি সিটিকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ গোলে সমতায় ছিল। প্রথমার্ধে স্কট ম্যাকটমিনি ও হ্যারি ম্যাগুয়েইরের গোলের পর ৫৮তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। তবে ৭১তম মিনিটে এলিস সিমস ও ৭৯তম কালাম ও'হেরের গোলে ম্যাচে ফেরে কভেন্ট্রি। যোগ করা সময়ে সফল স্পটকিকে সমতা ফেরান হাজি রাইট।

তবে এই ম্যাচে হারতেই পারতো ইউনাইটেড। নেহায়েত ভাগ্যই সঙ্গ দেয়নি কভেন্ট্রির। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে ইউনাইটেডের জালে বল পাঠিয়েছিল দলটি। কিন্তু অনেক নিখুঁত হিসেবে অফসাইডের কারণে গোল পায়নি দলটি। এর দুই মিনিট আগে সিমসের বুলেট গতির শট বারপোস্টে লেগে ফিরে আসে। টাই-ব্রেকারেও কাসেমিরোর নেওয়া প্রথম শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন কভেন্ট্রি গোলরক্ষক ব্রাডলি কলিন্স। তবে ও'হেরে ও বিন শেফ লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হলে জয় পায় ইউনাইটেডই।

তিন গোলে এগিয়ে থেকেও এমন হাড় কাঁপানো জয়ে তৃপ্তি খুঁজে পাচ্ছেন টেন হাগ। টানা দ্বিতীয়বারের মতো এফএ কাপের ফাইনালে উঠে এই কোচ বললেন, 'আমরা দুই বছরে দুটি ফাইনালে পৌঁছেছি, যা বড় অর্জন। দলের করা ভুলগুলো আমি দেখছি। এগুলো এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তবে এখানে কোনো বিব্রতকর ব্যাপার নেই, এটি (ফাইনালে ওঠা) বিরাট অর্জন।'

আগামী ২৫ মে ওয়েম্বলিতে শিরোপা লড়াইয়ে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। গত আসরেও ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুটি দল। সেবার ২-১ গোলের জয়ে শিরোপা উল্লাস করে সিটিজেনরা। তবে এবার ভিন্ন ফলাফল প্রত্যাশা করছেন টেন হাগ, 'বিশ্বের সেরা দলের মুখোমুখি হতে হবে আমাদের, তবে আমরা গত মৌসুমে দেখিয়েছি, যদি ৯০ মিনিটে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের জয়ের সুযোগ থাকবে। কাজটা সহজ হবে না, তবে আমাদের সুযোগ আছে এবং আমাদের সেই চেষ্টা করতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Impact of poverty on child marriages in Rasulpur

The child brides of Rasulpur

As Meem tended to the child, a group of girls around her age strolled past the yard.

12h ago