মাকে হাসপাতালে রেখে প্লে অফে খেলেছেন গুরবাজ
পেশাদার ক্রিকেটারদের কত কিছুই ত্যাগ করতে হয়। কলকাতার রহমানউল্লাহ গুরবাজ যখন প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলতে আহমেদাবাদের মাঠে, তখন তার মা আফগানিস্তানের এক হাসপাতালে ভর্তি। অসুস্থ মায়ের পাশে থাকতে টুর্নামেন্টের মাঝখানে চলে গিয়েছিলেন তিনি দেশে। কিন্তু দ্বিতীয় পরিবারের ডাকে আবার ফিরে এসেছেন।
মঙ্গলবার ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার ম্যাচে ১৪ বলে ২৩ রান করে আউট হয়েছেন আফগানিস্তানের এই ব্যাটার। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সঙ্গে ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে গুরবাজ শোনান, 'আমার মা এখনও হাসপাতালে আছেন এবং আমি সবসময়ই তার সঙ্গে কথা বলছি। তবে এটাও (কেকেআর) আমার পরিবার। আমার মা এবং কেকেআর পরিবার- দুটোকেই আমার ম্যানেজ করতে পারা উচিত। এটা কঠিন, কিন্তু তবুও ম্যানেজ করে যাওয়া আমার প্রয়োজন।'
কলকাতার হয়ে গত আসরে নিয়মিত ওপেনিং করেছিলেন গুরবাজ। যদিও এবার ফিল সল্টের কাছে জায়গা হারিয়ে বসে ছিলেন সাইডলাইনে। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইংলিশ ব্যাটারের কারণে গুরবাজের সুযোগ হয়নি প্লেঅফের আগে। কিন্তু দেশের হয়ে খেলতে সল্টের ফিরে যাওয়া কলকাতার জন্য বড়সড় ধাক্কাই ছিল। আবার অসুস্থ মায়ের সঙ্গে থাকতে গুরবাজ চলে গিয়েছিলেন আফগানিস্তানে।
কলকাতা নাইট রাইডার্সের বড্ড দরকার ছিল গুরবাজকে। দ্বিতীয় পরিবারের ডাকে তাই সাড়া না দিয়ে পারেননি এই ওপেনার, 'আমার মা এখনও অসুস্থ। আমি আফগানিস্তানে গিয়েছিলাম এবং যখন ফিল সল্ট চলে যাচ্ছিলেন তখন এখান থেকে একটা কল পাই। তারা আমাকে মেসেজ করেছিল, "গুরবাজ, আমাদের প্রয়োজন তোমাকে এবং আমাদের জন্য তোমার প্রতিক্রিয়া কী?" আমি বলেছি- হ্যাঁ, আমি আসবো।'
এবার প্রথমবারের মতো আইপিএলের ফাইনাল খেলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন গুরবাজ। হায়দরাবাদের সঙ্গে ৩৯ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয়ে ফাইনালে পা রেখেছে কলকাতা। ব্যাট হাতে সে ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েছিলেন গুরবাজ, কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি। থাঙ্গাসারু নাটরাজনের বলে সোজা কাভারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন, ফিরে যান ১৪ বলে দুটি করে ছক্কা ও চারে গড়া ২৩ রানের ইনিংস খেলে।
Comments