সাভারে উপজেলা প্রশাসনের মামলায় ‘অজ্ঞাত’ আসামি ৫ হাজার

মামলার বাদী বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের পাকিজা এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ। ছবিটি গত ১৯ জুলাই তোলা। ছবি: আকলাকুর রহমান আকাশ/ স্টার

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাভার উপজেলা পরিষদে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।

সাভার উপজেলা পরিষদের ষাট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর খোরশেদুল ইসলাম রাশেদ গত ২৩ জুলাই সাভার মডেল থানায় এই মামলা করেন। মামলায় উপজেলা পরিষদে হামলা, ভাঙচুর ও বিজিবি সদস্যদের মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার ব্যাপারে খোরশেদুল ইসলাম রাশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ হাজার লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের মাধ্যমে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে। আসামিরা পরিষদের মূল ফটকসহ স্মৃতিসৌধের ছবি ভাঙচুর করে। উপজেলা অফিস ভবনে থাকা অনেকগুলো হার্ডবোর্ড ভাংচুর করে আগুন দিয়ে ৯০ হাজার টাকা ক্ষতি করা হয়। এসময় তারা অফিসের সামনে গাড়ি ভাঙচুর করে। এরপর তারা অফিস কক্ষে ঢুকে অফিসে থাকা আসবাবপত্র ভাঙচুরে করে মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা ক্ষতি করে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে ছয় প্লাটুন বিজিবি উপজেলা প্রাঙ্গণে আসে। আন্দোলনকারীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করলে আত্মরক্ষার্থে মোট ৮১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।

সাভারে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ ও বিজিবির গুলিতে ১০ জন নিহত হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার বহু মানুষ আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ হতাহতদের কোনো তালিকা করেনি। নিহত হওয়ার ঘটনায় কোনো মামলা এমনকি মরদেহের ময়নাতদন্তও হয়নি।

সাভারে মোট ১৫ মামলা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মোট ১৫টি মামলা হয়েছে এবং আশুলিয়া থানায় হয়েছে ছয়টি মামলা।

গত ১৭ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।

এসব মামলায় সাভার মডেল থানায় মোট ১৩৮ জন এবং আশুলিয়ায় ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাভার মডেল থানায় দায়ের করা ১৫টি মামলার মধ্যে ৬টি মামলার বাদী পুলিশ। চারটি মামলা করেছে পুড়ে যাওয়া চার বাস কর্তৃপক্ষ। একটি করে মামলার বাদী সাভার উপজেলা প্রশাসন, সরকারি পশু হাসপাতাল, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি ও এনটিভির ক্যামেরা পারসন।

Comments

The Daily Star  | English

Bus services halted in Khagrachhari; transport strike in Rangamati

Following yesterday's violence in Khagrachhari and Rangamati, operations of road and waterway transport remain suspended in the two hill districts today

24m ago