বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে মিরাজের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াই

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ইনিংস হারের শঙ্কা উড়িয়ে মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে বাংলাদেশকে লিড এনে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান জাকের আলী। এরপর নাঈম হাসানকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন মিরাজ। কিন্তু এরপরই বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। ফলে আপাতত বন্ধ রয়েছে খেলা।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় সেশনের মাঝপথে বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার আগে ৭ উইকেটে ২৬৭ রান করেছে বাংলাদেশ। ফলে ৬৫ রানের লিড পেয়েছে টাইগাররা। ১৭৭ বলে ৭৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন মিরাজ। নিজের ইনিংসে ৮টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন তিনি। তার সঙ্গী নাঈম ১২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।

এদিন  লাঞ্চের আগেই ৮৯ রানের জুটি গড়া মিরাজ ও জাকের বিরতির পরও খেলতে থাকেন দারুণভাবেই। এরমধ্যে নিজের ফিফটিও তুলে নেন জাকের আলী। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের পর ৮ নম্বরে নেমে দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে হাফসেঞ্চুরি করেন এই ব্যাটার।

তবে ফিফটির পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জাকের। কেশভ মহারাজের লেন্থ ডেলিভারিতে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করবেন ভেবে শেষ মুহূর্তে মন বদলে ব্যাকফুটে খেলে লাইন মিস করেন এই ব্যাটার। বল প্যাডে লাগতেই আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েছিলেন জাকের। তবে লাভ হয়নি। ১১১ বলে ৭টি চারের সাহায্যে ৫৮ রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।

তবে অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন মিরাজ। মাঝে তার বিরুদ্ধে একটি বিফল রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অপর প্রান্তে থাকা নাঈম অবশ্য বিপদ ডেকে এনেছিলেন দ্বিতীয় বলেই। সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করলে এলবিডাব্লিউর আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন নাঈম।

এদিন দলীয় ১১২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন মিরাজ ও জাকের। তখন ইনিংস হার এড়াতে ৯০ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। দেখে শুনেই খেলতে থাকেন এ দুই ব্যাটার। তবে মাঝেমধ্যে বাউন্ডারি মেরে রানের গতিও সচল রাখেন তারা। শেষ পর্যন্ত ১৩৮ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।

এর আগে সকালে প্রথম চার ওভার ভালোভাবেই কাটায় বাংলাদেশ। পঞ্চম ওভারে এসেই হয় বিপত্তি। কাগিসো রাবাদার কথা অফস্টাম্পের বেশ বাইরের প্রথম অহেতুক খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন মাহমুদুল হাসান জয়। জায়গায় দাঁড়িয়ে স্লাস করতে গেলে ব্যাটার বাইরের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে দাঁড়ানো ডেভিড বেডিংহ্যামের হাতে। ৯২ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৪০ রান করেন জয়।

একই ওভারে আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটার মুশফিককেও তুলে নেন রাবাদা। আবারও সেই ভেতরে ঢোকা বলে বোল্ড হয়েছেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। অফ ও মিডল স্টাম্পের মাঝে পড়ে হালকা সুইং করে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ড্রাইভ করতে গেলে লাইন মিস করেন তিনি। ৪৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ রান করেন মুশফিক।

দুই ওভার পর আঘাত হানেন কেশভ মহারাজ। তার কিছুটা ধীর গতির বলে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু ব্যাটের কানায় ছুঁয়ে চলে যায় উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনার হাতে। প্রথমে আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে তাকে ফেরায় প্রোটিয়ারা। রিপ্লেতে দেখা যায় ভেরেইনার হাতে যাওয়ার আগে ব্যাটে চুমু খেয়ে যায় বল।

Comments

The Daily Star  | English
Rivers and people in Bangladesh

Of rivers and people

The present leadership must prioritise the development of these two assets of Bangladesh for a sustainable and prosperous future.

8h ago