সাজিদের ঘূর্ণিতে প্রথম দিনে এগিয়ে পাকিস্তান

মুলতানে প্রথম টেস্টে বিব্রতকর হারের পর দ্বিতীয় টেস্টে স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে সাফল্য পেয়েছিল পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতেও সাফল্যের খোঁজে তৈরি হলো স্পিন সহায়ক উইকেট। যেখানে কিনা একটি বলও করেননি পাকিস্তানি কোনো পেসার। অফস্পিনার সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে বিপাকে পড়ে ইংল্যান্ড। ভালো সঙ্গ পান বাঁহাতি স্পিনার নোমান আলীর কাছ থেকেও। তাতে ভালো দিনই কাটিয়েছে স্বাগতিকরা।

বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেটে ৭৩ রান করেছে পাকিস্তান। এর আগে ইংল্যান্ডকে ২৬৭ রানে গুটিয়ে দেয় তারা। অর্থাৎ এখনও ১৯৪ রানে পিছিয়ে আছে শান মাসুদের দল।

এদিন ইনিংসের শুরুতেই দুই প্রান্তে আগের টেস্টে ২০ উইকেট নেওয়া দুই স্পিনার সাজিদ ও নোমানকে নিয়ে বল করাতে থাকেন অধিনায়ক মাসুদ। দুই স্পিনার ম্যাচের শুরুর দুই ওভার করানোর ঘটনা টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসেই চতুর্থ। আর পাকিস্তানের মাটিতে তো প্রথম।

আর পাক দুই স্পিনারকে শুরুতে ভালোভাবেই সামলেছেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও ব্যান ডাকেট। ৫৬ রানের জুটিও গড়েন। কিন্তু তবুও তাদের পরিবর্তন করেননি পাক অধিনায়ক। তবে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন সাজিদ ও নোমান। ১৪তম ওভারে এসে ক্রলিকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন নোমান।

৬২ রানের ব্যবধানে আরও পাঁচটি উইকেট তুলে নেন এ দুই স্পিনার। ওলি পোপ ও জো রুটকে সাজিদ এবং ডাকেটকে নোমান এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। দলীয় একশ রান পূরণের আগে হ্যারি ব্রুককেও বোল্ড করেন দেন সাজিদ।

এরপর দলীয় ১১৮ রানে ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসকে আগা সালমানের ক্যাচে পরিণত করেন সাজিদ। তাতে বেশ চাপে পড়ে সফরকারীরা। এরপর গাস অ্যাটকিনসনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার জেমি স্মিথ। গড়েন ১০৫ রানের জুটি।

মূলত সপ্তম উইকেটের এই জুটির কারণেই হয়তো ৪৩তম ওভারে লেগস্পিনার জাহিদ মাহমুদকে আনেন পাক অধিনায়ক। এদিনের ৪২ ওভারে সব মিলিয়ে টানা ৮৯.৫ ওভার বোলিং করেছেন সাজিদ ও নোমান। এর আগে মুলতানে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসের শেষ ১৪.২ ওভারের দ্বিতীয় ইনিংসে টানা ৩৩.৩ ওভার করেছিলেন তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে অন্য কোনো বোলার ব্যবহার করেননি মাসুদ।

শেষ পর্যন্ত জাহিদ পান স্মিথের উইকেট। তিন অঙ্কের দিকে এগিয়ে যাওয়া এই ব্যাটারকে ফেরান ৮৯ রানে। ১১৯ বলে টি চার ও ৬টি ছক্কায় এই রান করেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। ৫২ রান আসে ডাকেটের ব্যাট থেকে। এছাড়া কার্যকরী ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন অ্যাটকিনসন।

তবে বাকি নয় উইকেট ভাগাভাগি করে নেন সাজিদ ও নোমান। ১২৮ রানের খরচায় ৬টি উইকেট সাজিদের। আর ৮৮ রানের বিনিময়ে ৩টি শিকার নোমানের।

নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বস্তিতে নেই পাকিস্তানও। দলীয় ৪৬ রানের তিন উইকেট হারায় তারা।

আবদুল্লাহ শফিককে (১৪) এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে ওপেনিং জুটি ভাঙেন শোয়েব বশির। আর জ্যাক লিচের বলে শর্ট মিড উইকেটে জো রুটের হাতে ক্যাচ দেন সায়িম আইয়ুব (১৯)। এরপর কামরান গুলামকে বোল্ড করে দেন এদিনের একমাত্র পেসার অ্যাটকিনসন।

Comments

The Daily Star  | English

Govt issues notification banning AL activities

A Public Security Division joint secretary confirmed the matter

28m ago