দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদন

নয়াদিল্লির লুটেনস বাংলো জোনে আছেন শেখ হাসিনা

শেখ হাসিনার থাকার জন্য এই সেফ হাউসের ব্যবস্থা করেছে ভারত সরকার।
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লুটেনস বাংলো জোনের একটি বাংলাতে অবস্থান করছেন বলে নিজেদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে দ্য প্রিন্ট।

আজ বৃহস্পতিবার ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, হাসিনার থাকার জন্য এই সেফ হাউসের ব্যবস্থা করেছে ভারত সরকার। কড়া নিরাপত্তার মাঝেই সেখানে অবস্থান করছেন তিনি। মাঝে মাঝে তিনি লোধি গার্ডেনে হাঁটাহাঁটি করেন।

লুটেনস একটি উচ্চ নিরাপত্তা সমৃদ্ধ এলাকা। সেখানে দেশটির অনেক প্রাক্তন ও বর্তমান পার্লামেন্ট সদস্য থাকেন। মন্ত্রী, সিনিয়র পার্লামেন্ট সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য যে আকারের বাংলো বরাদ্দ করা হয়, হাসিনাকেও তেমনই একটি পূর্ণ আকারের বাংলো দেওয়া হয়েছে।

গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারত চলে যান হাসিনা। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি উড়োজাহাজে ভারতের হিন্দন বিমান ঘাঁটিতে গিয়ে নামেন তিনি।

দ্য প্রিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিন্দন বিমান ঘাঁটি থেকে দুদিনের মধ্যে চলে যান হাসিনা এবং পরবর্তীতে তাকে কড়া নিরাপত্তায় রাখা হয় লুটেনস বাংলো জোনের একটি বাংলোতে। হিন্দনে নামার পর তার সঙ্গে দেখা করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা।

এক সূত্র জানিয়েছে, 'তিনি বেশিক্ষণ এয়ারবেসে থাকতে পারতেন না। সেখানে ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না। তাই কয়েক দিনের মধ্যেই তাকে একটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং তারপরে তাকে দিল্লির লুটেনস এলাকায় একটি বাংলোতে রাখার ব্যবস্থা করা হয়।'

অপর একটি সূত্র দ্য প্রিন্টকে জানিয়েছে, হাসিনার নিরাপত্তার জন্য যথাযথ প্রটোকল রয়েছে এবং তিনি লোধি গার্ডেনে মাঝে মাঝে হাঁটাহাঁটি করেন।

হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর সময় উড়োজাহাজে ছিলেন তার বোন শেখ রেহানাও। ভারতের ওই বাংলোতে তিনিও থাকছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

তবে, হাসিনার নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় ওই বাংলোর বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি পত্রিকাটি। ভারত সরকারের মন্তব্য জানার চেষ্টা করলেও প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার আগ পর্যন্ত তারা তা পায়নি।

 

Comments

The Daily Star  | English

Cyclone Dana lashes Odisha coasts

The landfall process will last for nearly five hours till Friday morning

20m ago