ইনজুরিই দলের প্রধান উদ্বেগের বিষয়
নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের এখন যেন দম নেওয়ারও সময় নেই। কিউইদের কাছে বার বার হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর সেই ক্ষতের পরিচর্যা যেমন এখন প্রয়োজন এর সঙ্গে প্রয়োজন সামনে ভারত সফরের জন্য শক্ত প্রস্তুতি নেওয়া।
তাই দলের ম্যানেজমেন্টের কাছে দুটি বিষয় এখন সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে। এর একটি হলো পরাজয়ের স্মৃতি ভুলে যাওয়া এবং দ্বিতীয়টি দলের প্রধান ব্যাটসম্যানদের পরবর্তী টেস্ট সিরিজের জন্য প্রস্তুত করে তোলা।
ইনজুরিতে থাকা প্রধান ব্যাটসম্যান মাশরাফি বিন মুর্তজা, মুশফিকুর রহিম, ইমরুল কায়েস এবং মমিনুল হকের ফিটনেস পরীক্ষা হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি। তাদের নাম রয়েছে আগামী টেস্ট দলের তালিকায়। তাই ফিটনেস পরীক্ষার পর জানা যাবে তাদের ভাগ্যে কি রয়েছে।
বুড়ো আঙ্গুলে ব্যথার কারণে মুশফিক নিউজিল্যান্ডে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারেননি। অথচ তিনি প্রথম টেস্টে ১৫৯ রানের একটি অনবদ্য স্কোর তুলেছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরীর আশা, ভারত সফরের আগেই পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন টেস্ট অধিনায়ক।
“যেহেতু মুশফিকের আঙ্গুল ভাঙেনি, তাই এটা নিয়ে তেমন উদ্বেগের কিছু নেই। তবে তার আঙ্গুলে এখনো ব্যথা রয়েছে। এই ব্যথা কমে যাবে বলে আমরা আশা করছি।”
এদিকে, দেশে ফেরার পর ইমরুল এবং মমিনুলের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। রিপোর্টে নেতিবাচক কিছু আসেনি।
দেবাশীষ বলেন, “ইমরুলের উরুর ব্যথাটাও একটু একটু করে কমে আসছে। এখন সে তার গ্রামের বাড়িতে আছে। সেখান থেকে ফেরার পর তারও ফিটনেস পরীক্ষা করা হবে। তারপর পরিস্থিতিটা বোঝা যাবে। পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত কাউকে মাঠে নামানোটা উচিত হবে না।”
নিউজিল্যান্ডে দ্বিতীয় টেস্টে মমিনুল খেলতে পারেননি পাঁজরের ব্যথার কারণে।
“আমরা মুমিনুলকে কিছু ব্রিদিং এক্সারসাইজ দিয়েছি। পাঁজরে ব্যথা হলে সাধারণত এমন চিকিৎসা দেওয়া হয়। যাই হোক, তার সমস্যাটা খুব জটিল কিছু না। আশাকরি, আগামী টেস্টে আমরা তাকে মাঠে দেখতে পাব।”
তবে তুলনামূলকভাবে সীমিত ওভারের অধিনায়ক মাশরাফির সুস্থ হতে আরও একটু সময় লাগবে। তার ডান হাতে এখনো প্লাস্টার লাগানো রয়েছে। আগামী মার্চে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সীমিত ওভারের খেলা রয়েছে। তাই এই সময়ের মধ্যে মাশরাফিকে সুস্থ করে তুলতে চাইছে দলের ম্যানেজমেন্ট।
Click here to read the English version of this news
Comments