ভারতে প্রধান বিচারপতিসহ ৭ বিচারপতিকে গ্রেফতারের নির্দেশ!

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সি এস কারনান

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সি এস কারনান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহারেরসহ সাতজন বিচারপতিকে ‘গ্রেফতারের নির্দেশ’ দিয়ে দিল্লির পুলিশ মহা-পরিদর্শকের কাছে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশকে।

১ মে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের এই বিচারপতি পি এস কারনানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সাত বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আর এর পরদিন মঙ্গলবার কলকাতার উপকণ্ঠে নিউটাউনের নিজের বাড়িতে বসে নিজের আদালতেই ওই বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সহ সাত বিচারপতির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেন।

ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি’র খবরে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এখানে বলা প্রয়োজন, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বিচারপতির পি এস কারনানের বৈচারিক ক্ষমতা প্রত্যাহার করে নেয় ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি সর্বশেষ গত সোমবার (১ মে) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ বিচারপতির কারনানের দেওয়া কোনও নির্দেশ প্রশাসনের কোনও পর্যায়ের মান্যতা পাবে না বলেও পরিষ্কার উল্লেখ করে দেন।

ফলে কলকাতা হাইকোর্টের এই বিচারপতির মঙ্গলবারের দেওয়া নির্দেশের কোনও আইনি ভিত্তি নেয় বলে জানাচ্ছেন আইনজ্ঞরা।

কলকাতার বর্ষীয়ান আইনজীবি বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, একটি একটি বিরলতম ঘটনা। নিজেদের মধ্যে বিবাদ মেটার ব্যবস্থায় গিয়ে বিবাদ মিটিয়ে ফেলা উচিৎ বলেও মনে করেন ওই আইনজীবী।

বিচারপরিত কারনানের আইনজীবী পিটার রমেশ এই বিষয়ে কলকাতার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে একটি আদালত অবমাননার মামলা চলছে বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে। এই ধরনের মামলায় মেডিকেল পরীক্ষার আদেশ দেওয়ার কোনও বিধান নেই। সেটা করতে হলে ২০১৭ সালের মানসিক ব্যাধি আইন অনুযায়ী করতে হবে। যেটা ওই আদেশে বলা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিলেও বিচারপতি কারনান তার মানসিক স্বাস্থ পরীক্ষায় কোনও প্রকার সহযোগিতা করবেন না।

ভারতের সুপ্রিম কোর্টের মনে হয়েছে, বিচারপতি কারনান হয়তো আদালত অবমাননার মূল মামলায় নিজের পক্ষে ঠিকমতো সওয়াল করতে পারবেন না। এর জন্য কলকাতায় একটি চিকিৎসক দলকে তাঁর মানসিক সুস্থ্যতা খতিয়ে দেখে সুপিম কোর্টের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

8h ago