মেহেরপুরের আম যাচ্ছে ইউরোপে
মেহেরপুর থেকে এ বছর ২৫০ টন আম ইউরোপে রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার ৭০ জন চাষির কাছ থেকে রপ্তানির জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে উৎপাদিত এসব আম সংগ্রহ করা হবে।
গাছ থেকে আম সংগ্রহ ও প্যাকেটজাত করার কাজে এখন এক মুহূর্তও ফুরসত নেই মেহেরপুরের আম চাষিদের। তবুও তাদের মধ্যে নেই ক্লান্তির ছাপ। কারণ আম রপ্তানিতেই সুদিনের স্বপ্ন দেখছেন এখানকার চাষিরা।
মেহেরপুরের ঝাউবাড়িয়া গ্রামের আম চাষি সাহিদুর রহমান শাহীন এ বছর ৩০ বিঘা জমিতে আম চাষ করেছেন। আম বিক্রি করে সাড়ে আট লাখ টাকা আয়ের আশা করছেন তিনি।
যাদের আম রপ্তানি করা হবে তাদের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই)। শাহীনও চুক্তিবদ্ধ সেই ৭০ জন চাষির একজন।
ইউরোপীয় রপ্তানির মানদণ্ডের শর্ত পূরণে আম উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়ায় চুক্তিবদ্ধ চাষিদের প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে ডিএই। তাদের সহায়তাতেই ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করে আম চাষ করেছেন শাহীন। তার বাগানের দুই লাখ আম রপ্তানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে যা গত বছরের চেয়ে তিন গুণ।
মানের দিক থেকে অন্য যে কোন বছরের চেয়ে এ বছর ভালো হয়েছে বলে মনে করছেন মেহেরপু ডিএই উপ-পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান। এর মধ্যে আবার হিমসাগর আমকেই সেরা মনে করছেন বাংলাদেশ এক্সপোর্ট এসোসিয়েশনের এই সদস্য।
তিনি জানান, বিদেশি ক্রেতারা আম খেয়ে এবার খুব প্রশংসা করেছেন। তার মতে মেহেরপুরের মাটি উন্নত মানের হিমসাগর আম চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী।
ইউরোপে আম রপ্তানির পাশাপাশি এখন চীনের বাজারেও ঢুকতে চাইছেন এখানকার আম চাষিরা। এছাড়া সর্বোচ্চ মানের আম উৎপাদন ও রপ্তানির ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্য তারা সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। আর সেই আশাতেই আগামী মৌসুমে ১০০ বিঘা জমিতে আম চাষের কথা ভাবছেন শাহীন।
ডিএই’র তথ্য অনুযায়ী এবছর মেহেরপুরের ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার হেক্টরেই হয়েছে হিমসাগর জাতের আম।
ডিএই কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমানের আশ্বাস, জেলার আমচাষীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
Click here to read the English version of this news
http://www.thedailystar.net/business/meherpur-europe-1413376
Comments