কক্সবাজারে পাহাড় ধসে ও দেয়াল চাপায় ৫ জন নিহত
কক্সবাজারে পৃথক দুই জায়গায় আজ মঙ্গলবার পাহাড় ধসে চার জন নিহত ও আরও চার জন আহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারি বৃষ্টির পর সেখানে পাহাড়ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটল।
রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি ইউনিয়নের কাইম্যার ঘোনা এলাকায় ঘুমন্ত অবস্থায় মাটি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় তিন ও চার বছরের সহোদর জিহান ও সায়মা। গুরুতর আহত হয়েছে তাদের বাবা জিয়াউর রহমান (৩৫) ও মা আনারকলি বেগম (২৭)। তাদের দুজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
একই সময়ে জেলা শহরের লাইটহাউস পাড়ায় পাহাড় ধসে মারা গেছে আরও দুই জন। নিহতরা হলেন মোহাম্মদ শাহেদ (১৮) ও সাদ্দাম হোসেন (২৮)। শাহেদ ঘটনাস্থলেই মারা যায়। সাদ্দাম হোসেন, দেলোয়ার হোসেন (২৫) ও আরাফাত হোসেন (৩০) কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদ্দাম মারা যান।
কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল মালেক ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার পাহাড় ধসে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে সোমবার সন্ধ্যায় পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের হাসানেরজুম এলাকায় বাড়ির মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে ঘটনাস্থলে মারা গেছেন আনোয়ারা বেগম(৬০) নামের এক নারী। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল করিম জানিয়েছেন নিহত আনোয়ারা বেগমের পরিবারকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানিয়েছেন পাহাড় ধসের ঘটনাগুলো তদারকির জন্য একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছন। কক্সবাজার শহরের পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে তিনটি টিম কাজ করছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ২০৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই প্রবল বৃষ্টির কারণেই পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে।
Comments