মশাকে ভারতছাড়া করতে আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা
রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জনস্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে প্রায়ই নির্দেশনা দেন আদালত। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন কিছু উদ্ভট আবেদন আসে যেখানে আদালতের কিচ্ছু করার থাকে না। সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে এমন এক আবেদন আসে যেখানে বলা হয় ভারতকে মশামুক্ত করতে আদালত যেন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। কিন্তু মশাকে পুরোপুরি নির্বংশ করা সাধারণ কোনো মানুষের কাজ নয় জানিয়ে আদালত বলেছেন, এই কাজ একমাত্র ঈশ্বরের পক্ষেই করা সম্ভব।
প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় মশার কোনো ভূমিকা রয়েছে কি না সেটা প্রাণিবিজ্ঞানীরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে মানুষের অনিষ্ট করায় এর জুড়ি নেই। আকারে ক্ষুদ্র হলেও মশা, বাঘ-সিংঘের চেয়েও অধিক প্রাণঘাতী। অন্য সব প্রাণীর আক্রমণে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর যত মানুষ প্রাণ হারায় তার চেয়ে মশার কামড়েই ঢের বেশি মানুষ মারা যায়।
পিটিআই-এর বরাত দিয়ে এনডিটিভির খবরে বলা হয়, মশাকে ভারতছাড়া করতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছিলেন ধনেশ লেশধন নামের এক ব্যক্তি। মশার যন্ত্রণায় বিরক্ত হয়ে তিনি ভেবেছিলেন, মশা নির্মূলে আদালত হয়ত কিছু করতে পারবেন। শুনানি শেষে গত শুক্রবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ঈশ্বর নই। যে কাজ কেবল ঈশ্বর করতে পারেন তা আমাদের করতে বলবেন না।”
বিশ্ব সংস্থার হিসাব অনুযায়ী প্রতি বছর সাত লাখের ওপর মানুষ মশাবাহিত রোগে প্রাণ হারান। এ ধরনের রোগ থেকে চিরমুক্তির একমাত্র উপায় মশাকে নির্বংশ করা। দশকের পর দশক ধরে বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করেও এ ব্যাপারে বিশেষ সফলতা অর্জন করতে পারেননি। এখন তারা প্রায় একমত যে মশাকে বিলুপ্ত করা প্রায় অসম্ভব কাজ। তবে মশাবাহিত রোহ ম্যালেরিয়া নির্মূলের অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন বিজ্ঞানীরা।
Comments