ভিলিয়ার্সের তাণ্ডবে রানের পাহাড়ে দ.আফ্রিকা
দীর্ঘদিন পর ওয়ানডে খেলতে নেমেই নিজের সেরা ছন্দে ফিরলেন এবিডি ভিলিয়ার্স। বাংলাদেশের বোলারদের পিটিয়ে ছাতু বানিয়েছেন তিনি। তার ব্যাটের তাণ্ডবে লন্ডভণ্ড হয়ে গেছে বাংলাদেশের সকল প্রতিরোধ। টস হেরে আগে ব্যাটিং পেয়ে ৬ উইকেটে ৩৫৩ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ভিলিয়ার্স একাই করেছেন ১০৪ বলে বলে ১৭৬ রান। রুবেল হোসেন ৬২ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট।
শুরুতে ভালো করলেও প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও ছন্দহীন বোলিং, ক্যাচ মিসের মহড়া চলেছে। দেখেশুনে শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকানরা উইকেটে থিতু হয়েই খেলেছে বড় বড় শট। এই ম্যাচেও ওপেনিং জুটি ভাঙতে ৯০ রান পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে বাংলাদেশ। ৯০ রানের মাথায় ৪৬ রান করা কুইন্টেন ডি ককে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান। এর দুই বল পরেই ফাফ ডু প্লেসিকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে চাঙা করে তুলেছিলেন সাকিব। কিন্তু তারপরই শুরু হয় ভিলিয়ার্স ঝড়। তৃতীয় উইকেটে হাশিম আমলাকে নিয়ে গড়েন ১৩৬ রানের জুটি। যাতে ভিলিয়ার্সের একারই ৮৬ রান।
২২৬ রানে ব্রেক থ্রু এনে দেন রুবেল হোসেন। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান হাশিম আমলাকে ৮৫ রানে থামান তিনি। আমলা থামলেও থামেননি ভিলিয়ার্স। তার চওড়া ব্যাটে ছারখার হয়ে যায় টাইগার বোলিং। জেপি ডুমিনির সঙ্গে গড়েন দ্রুত ১১৭ রানের জুটি। তাতে ভিলিয়ার্সের ৯০ রান, তাও মাত্র ৪৪ বলে। উইকেটের চারপাশে খেলেছেন তার ট্রেডমার্ক সব শট। যার সাতটি গিয়ে পড়েছে গ্যালারীতে। স্লো আউটফিল্ডেও এই ব্যাটিং জিনিয়াসের ১৫বার বল বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে পেরেছেন। তবে ওই জুটি আগেই ভেঙে ফেলার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মাশরাফির বলে ডুমিনির সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন ইমরুল কায়েস।
শেষ পর্যন্ত ভিলিয়ার্সকে ফিরিয়েছেন শেষ দিকে বেশ ভালো বল করা রুবেল হোসেন। কিন্তু তার আগেই ৩৪৩ রান জমা পড়ে প্রোটিয়াদের বোর্ডে। ১০৪ বলে ১৭৬ রান করা ভিলিয়ার্স ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সাব্বির রহমানের হাতে জমা পড়েন। শেষ ওভারে পর পর দুই বলে ডুমিনি ও প্রিটোরিয়াসকেও ফিরিয়েছেন রুবেল।
Comments