পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৩০ হাজার, ৩৫ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গত তিন সপ্তাহে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার অতিক্রম করেছে। এই সময়ের মধ্যে মশাবাহিত রোগটিতে ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ১২ বলে দাবি করা হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। গত তিন সপ্তাহে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার অতিক্রম করেছে। এই সময়ের মধ্যে মশাবাহিত রোগটিতে ৩৫ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তবে সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা ১২ বলে দাবি করা হচ্ছে।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, চলতি বছর ডেঙ্গুতে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে গত কয়েকদিনে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ও দেগঙ্গায় ডেঙ্গুতে যে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পত্রিকাগুলো খবর প্রকাশ করেছে আসলে সেখানে মাত্র এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আর পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের মতে রাজ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ৫৩৭। 

এদিকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগ দাবি করেছে বিজেপি। ২৩ অক্টোবর সোমবার দুপুরে কলকাতায় বিজেপির মহিলা মোর্চা নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ করে পদত্যাগের স্লোগান তোলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। 

কদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে দাবি করেছেন রাজ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমনকি গত কদিনের ডেঙ্গু নিয়ে যে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে সে খবর ভুল বলেও দাবি করেন তিনি। মমতা বলেন, হাবড়া-দেগঙ্গায় নয় জন ডেঙ্গু আক্রান্ত মারা গিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। আসলে সেগুলোর মধ্যে মাত্র একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ছিলেন। বাকিরা নানা কারণে মারা গিয়েছেন।

মুখ্যমন্ত্রী ওই ব্রিফিং-এ রাজ্যের চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট লেখার সময় আরও সর্তক থাকার পরামর্শ দেন।

গত কয়েক দিন বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার দেগঙ্গা-বারাসত মহকুমার হাবড়ায় কমপক্ষে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই মৃত্যুর কারণ নিয়ে যদিও ধোঁয়াশা রয়েছে। গণমাধ্যমগুলো ‘অজানা জ্বর’কে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করেছে। 

এই বিষয়ে বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদ ও বর্তমান তৃণমূল নেতা হাজি নূরুল ইসলাম বলেন, ‘আল্লাহর হাতেই সব নিয়ন্ত্রণ। জ্বর প্রতিরোধে আমাদের কিছু করার নেই’। তবে রাজ্যের প্রশাসন স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছেন বলেও জানান হাজি নূরুল ইসলাম। 

বিজেপি মনে করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি রাজ্যের ভয়াবহ ডেঙ্গু পরিস্থিতি আড়াল করতে চাইছেন। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডাক্তাররা ডেঙ্গুর জীবাণু থাকার পরও লিখতে সাহস পাচ্ছেন না। তাই রোগীরা মারা যাচ্ছেন। সেই সুযোগে বলা হচ্ছে আজান জ্বরে মৃত্যু হচ্ছে। 

বিজেপি’র মহিলা মোর্চা নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। রাজ্যের মানুষের সামনে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে যতক্ষণ না মুখ্যমন্ত্রী সত্যিকারের তথ্য প্রকাশ করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত বিজেপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত গত বছরও ভারতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে ছিল। ২৩ হাজার আক্রান্তের মধ্যে ৪৫ জনের মৃত্যু হয় সে বছর। 

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

40m ago