মিয়ানমারে নিষেধাজ্ঞার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত চলমান গণহত্যা বন্ধে যখন বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো দ্বিধা-বিভক্ত তখনই খবর এলো দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
rohingya refugees
মিয়ানমারে চলমান গণহত্যা থেকে প্রাণ বাঁচাতে প্রতিকূল পরিবেশ উপেক্ষা করে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয়ের খোঁজে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছে একটি রোহিঙ্গা পরিবার। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর পরিচালিত চলমান গণহত্যা বন্ধে যখন বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো দ্বিধা-বিভক্ত তখনই খবর এলো দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট এক বার্তায় গতকাল (২৩ অক্টোবর) বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও গ্লোবাল ম্যাগনিটস্কির আইন অনুযায়ী কিভাবে (মিয়ানমারে) নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় সে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হচ্ছে।”

এর পাশাপাশি, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সব রোহিঙ্গারা যেন স্বেচ্ছায় ও নিরাপদে নিজেদের ভিটে-মাটিতে ফিরে যেতে পারেন সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমার সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে, খবর ইউএনবি’র।

রাখাইন অ্যাডভাইসরি কমিশন বা আনান কমিশনের দেওয়া পরামর্শগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ওপর বহু বছর থেকে চলে আসা বৈষম্যের মূল কারণ দূর করতে হবে। এই কমিশনে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের বিষয়টির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র। মিয়ানমারে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনীকে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

নুয়ার্ট বলেন, “মিয়ানমারকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনা এবং দেশটির রাখাইন রাজ্যে চলমান সংকট সমাধানে আমরা সহযোগিতা চালিয়ে যাব।”

“তবেরাখাইন রাজ্যে সহিংসতা এবং রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের ওপর পরিচালিত অমানবিক নির্যাতনে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি,” যোগ করেন এই মুখপাত্র।

Comments