টি-টোয়েন্টিতেও ডট বলের মিছিল

১৫৭, ১৫১, ১৫৮। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ মোট ডট বল খেলেছিল ৪৬৬টি। অর্থাৎ ইনিংসের অর্ধেকেরও বেশি। সেই ধারা বজায় থাকল টি-টোয়েন্টিতেও। ২০ রানে হারা প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ডট বল খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিগুণেরও বেশি।
ড্যান প্যাটারসন
বাংলাদেশকে ভুগিয়েছেন ড্যান প্যাটারসন। ছবি: এএফপি

১৫৭, ১৫১, ১৫৮। ওয়ানডে সিরিজের তিন ম্যাচে বাংলাদেশ মোট ডট বল খেলেছিল ৪৬৬টি। অর্থাৎ ইনিংসের অর্ধেকেরও বেশি। সেই ধারা বজায় থাকল টি-টোয়েন্টিতেও। ২০ রানে হারা প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ডট বল খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিগুণেরও বেশি।

ব্লমফন্টেইনে আগে ব্যাট করে ৪ উইকেটে ১৯৫ রানের পাহাড় দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা। ১২০ বলের মধ্যে তাতে ডট বল ছিল মাত্র ২৩টি। পাহাড়সম রান তাড়ায় বাংলাদেশের দরকার ছিল ঝড়ো শুরু। ওপেনিংয়ে নেমে সৌম্য সরকার তা এনেও দিয়েছিলেন। এই ঝড়কে ভীত করে আগাতে পারেননি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা, হয়েছেন একেবারে ব্যর্থ। বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যানই কম বেশি চার ছয় মেরেছেন কিন্তু খেলেছেন প্রচুর ডট বল। পুরো ইনিংসে বাংলাদেশের ডট বলের সংখ্যা তাই ৪৫টি! ২০ ওভার শেষে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৭৫ রানে। 

ডট বল বাড়িয়েছে চাপ। চাপ কমাতে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সাব্বির রহমান সবাই বড় শট খেলতে গিয়ে বল আকাশে তুলে দিয়ে ফিরেছেন। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকা অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনের সঙ্গে এদের কেউ একজন টিকে গেলেই খেলার ফল অন্যরকম হতেই পারত। অন্তত আরও ১০-১২টি ডট বল কম খেললেও সফরের প্রথম জয়টা হয়ত পেয়েই যেত বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণীতেও উঠে এসেছিল ডট বল প্রসঙ্গ। অবশ্য অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দোষ দিয়েছেন বোলিং-ফিল্ডিংকেই। তার মতে বোলার-ফিল্ডাররা অন্তত ২০-২৫ রান বেশি দিয়েছেন। 

Comments