ঢাকাকে উড়িয়ে দিল সিলেট
নামে ভারে সিলেট সিক্সার্স থেকে বেশ এগিয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন তো বটেই, খাতা কলমে সাকিব আল হাসানদের দলটাই সবচেয়ে শক্তিশালী। তবে ক্রিকেট খেলাটা ব্যাট-বলের।আসল লড়াইয়ে তাই প্রথমম্যাচে ঢাকাকে ভড়কে দিল এবারের আসরের নতুন দল সিলেট সিক্সার্স। ঢাকার দেওয়া ১৩৭ রানের মামুলি টার্গেট এক উইকেট হারিয়েই তুলে নিয়েছে সিলেট। খেলার জন্য তখনো পড়ে আছে ১৯ বল।
১৩৬ রানের পুঁজিতে দরকার ছিল আটোসাটো বোলিং, দ্রুত উইকেট। সাকিব, শহীদরা তা করতে পারেননি। উল্টো শুরুতেই ঝড় তুলেন শ্রীলঙ্কান উপুল থারাঙ্গা। শুরুতে নড়বড়ে থাকলেও আন্দ্রে ফ্লেচার থিতু হয়েই খেলতে থাকেন বড় বড় শট। থারাঙ্গার আগেই ফিফটিতে পৌঁছে যান ক্যারিবিয়ান ডানহাতি ফ্লেচার। তবে দেরি করেননি থারাঙ্গাও। মাত্র ৩৪ বলে টুর্নামেন্টের প্রথম ফিফটি তুলে নেন থারাঙ্গা। আর আউটই হননি।
উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গতে বারবার বোলিং বদলেছেন সাকিব, লাভ হয়নি তাতে। কেবল সাকিব ছাড়া আর কেউই সমস্যায় ফেলতে পারেননি সিলেটের দুই ওপেনারকে। ঢাকার অধিনায়ক তার কোটার চার ওভারে ২৩ রান দিয়ে বোলিং শেষ করলে আরও যাচ্ছেতাই হয়ে পড়ে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বোলিং। আবু হায়দার রনি, সাকলাইন সজীবরা আলগা বল দিয়ে বেদম মার খেয়েছেন। ১ ওভার বল করে ১৪ রান দেওয়ায় আর বোলিং পাননি মোহাম্মদ শহীদ। ৫০ বলে ৬৩ রান করে যখন আন্দ্রে ফ্লেচার আউট হন সিলেটে তখন জিততে বাকি মাত্র ১২ রান। বাকি কাজটুকু সারতে কোন সমস্যাই হয়নি সাব্বির রহমান ও থারাঙ্গার। সিলেটকে জিতিয়ে ৪৮ বলে ৬৮ রান করে মাঠ ছাড়েন থারাঙ্গা। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন তিনি।
এরআগে টস জিতে ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে সিলেটকে দারুণ শুরু এনে দেন নাসির হোসেন। লিয়াম প্লাঙ্কেট ও আবুল হাসান রাজুও করেন বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং। তাতে ১৩৬ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা ডায়নামাইটস। দুটি করে উইকেট নেন এই তিনজন। ওভারপ্রতি ৬ রানের বেশি দেননি কেউ।
Comments