‘প্যারাডাইস পেপারস’ কেলেঙ্কারিতে ব্রিটেনের রানী

প্যারাডাইস পেপার কেলেঙ্কারিতে ব্রিটেনের দ্বিতীয় রানী এলিজাবেথ
ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এপি ফাইল ছবি

পানামা পেপারস কেলেঙ্কারির রেশ কাটতে না কাটতে নতুন আরেকটি আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হয়েছে। নতুন এই ঘটনায় ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথসহ বিশ্বের ক্ষমতাধর অনেক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে।

সারা বিশ্বের প্রায় শখানেক গণমাধ্যমের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের কনসোর্টিয়ামের তদন্তে বের হয়ে আসা এই কেলেঙ্কারির নাম দেওয়া হয়েছে ‘প্যারাডাইস পেপারস’। এতে দেখা যাচ্ছে ক্ষমতাধর অনেকেই স্বল্প কর দেওয়া লাগে বা একদমই কর দেওয়া লাগে না এমন দেশে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। দেশে কর ফাঁকি দিতে তারা এমন কাজ করেছেন।

বার্তা সংস্থা এপির খবরে জানানো হয়, ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব জার্নালিস্টের হাতে যেসব তথ্য এসেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কেম্যান আইল্যান্ড ও বারমুডায় ১০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করেছেন। ২০০৪ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে অর্থসংক্রান্ত রানীর ব্যক্তিগত ম্যানেজার ডাচি অব ল্যাংকেস্টারে এই অর্থ বিনিয়োগ করেন।

ডাচি অব ল্যাংকেস্টারের কাছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের প্রচুর সম্পদ গচ্ছিত রয়েছে। রানীর জন্য সম্পদ বৃদ্ধি করা তার দায়িত্ব। এক বিবৃতিতে তারা ব্রিটেনের বাইরে বিনিয়োগের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাদের দাবি, আইন মেনেই বিনিয়োগ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা বিনিয়োগ নিয়ে অনেক কাজ করি। এর মধ্যে দেশের বাইরেও কিছু বিনিয়োগ রয়েছে। আমাদের সকল বিনিয়োগ নিরীক্ষিত ও আইনসম্মত।”

ব্রিটেনে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রচুর সম্পদ রয়েছে। এসব থেকে যা আয় হয় তার জন্য কর পরিশোধ করা হয়। রানীর যেসব সম্পদ রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ি, মূল্যবান চিত্রকর্ম ও গয়না। আইনগতভাবে টেমস নদীর প্রচুর রাজহাঁসেরও মালিক রানী নিজে।

নতুন করে তৈরি হওয়া এই বিতর্ক থেকে ব্রিটেনের রাজতন্ত্র বিলোপ করে পুরোপুরি প্রজাতন্ত্র ঘোষণার পক্ষে ফের জোর দাবি উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

3h ago