মৈত্রী এক্সপ্রেস: ১০ নভেম্বর থেকে শুল্ক-অভিবাসনের আনুষ্ঠানিকতা ঢাকা-কলকাতা স্টেশনে
কলকাতা এবং ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনেই যাত্রীদের শুল্ক-অভিবাসনের (কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন) কাজ করতে হবে ১০ নভেম্বর থেকে। সেদিনই যাত্রীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে।
এর ফলে ভারতের গেদে ও বাংলাদেশের দর্শনা সীমান্তে দুই ঘণ্টা করে মোট চার ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হবে না। এতে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ১২ ঘণ্টার দীর্ঘ যাত্রা কমে দাঁড়াবে মাত্র আট ঘণ্টায়।
দীর্ঘ দিন ধরেই যাত্রীরা এ দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সময় কমলে এই রুটে যাত্রী সংখ্যা আরো বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরাও। আজ (৬ নভেম্বর) ভারতীয় পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো ইমেইল বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ৩১ অক্টোবর পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, আগামী ৯ নভেম্বর থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হবে। তবে তিনি এ বিষয়ে আর কোনও কথা বলতে রাজি হননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, ভারতীয় অংশে প্রস্তুতির কাজ শেষ হলেও ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে শুল্ক-অভিবাসনের কাজ করার জায়গা প্রস্তুত না হওয়ার কারণে এটি একদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৩১ অক্টোবর কলকাতায় ভারতীয় পূর্ব-রেলের প্রধান কার্যালয়ে দুই দেশের রেল, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বৈঠক করে দিনটি চূড়ান্ত করেন।
বর্তমান ব্যবস্থাপনায় ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে যাত্রীরা শুধু তাঁদের মালামাল এক্স-রে করে পাসপোর্ট দেখিয়ে ট্রেনে চড়ে বসেন। এরপর, বাংলাদেশের চুয়াডাঙা জেলার দর্শনা সীমান্তে পৌঁছে শুল্ক ও অভিবাসনের কাজ সম্পন্ন করেন। সেখানে ব্যয় হয় কমপক্ষে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা।
একইভাবে মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ অতিক্রম করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গেদে সীমান্তে পৌঁছে একই যাত্রীকে আবারও ভারতীয় অংশের শুল্ক ও অভিবাসনের কাজ শেষ করতে হয়। সেখানেও একইভাবে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা সময় দিতে হয় যাত্রীদের।
তবে নতুন ব্যবস্থাপনায় যাত্রীদের উড়োজাহাজের মতো গন্তব্যের দুই প্রান্তে সব ব্যবস্থা শেষ হবে। ঢাকার যাত্রীরা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে তাদের কাস্টমস-ইমিগ্রেশন শেষ করে উঠবেন কলকাতাগামী ট্রেনে। ভারতের প্রান্তিক স্টেশন চিৎপুরের ‘কলকাতা স্টেশন’-এ নেমে একইভাবে ভারতের অংশে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে সহজেই যাত্রীরা বেরিয়ে পড়তে পারবেন।
Comments