রোহিঙ্গাদের ফেরানোয় বাধা হতে পারে জাতিসংঘের বিবৃতি: মিয়ানমার

​জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে শরণার্থীদের ফেরাতে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে বুধবার হুশিয়ারি দিয়েছে মিয়ানমার।
Myanmar Rohingya Refugee Crisis
কক্সবাজারের পালংখালী শরণার্থী শিবিরে পানি সংগ্রহে ব্যস্ত এক রোহিঙ্গা কিশোর। ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বুধবার যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে শরণার্থীদের ফেরাতে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে বুধবার হুশিয়ারি দিয়েছে মিয়ানমার।

গত সোমবার নিরাপত্তা পরিষদ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে রাখাইনে অতিমাত্রায় সামরিক শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত থাকার নিশ্চয়তা চাওয়া হয়েছিল। সেই সাথে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দ্বারা রোহিঙ্গাদের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের ব্যাপারেও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের সর্বসম্মতিক্রমে ওই বিবৃতিটি দেওয়া হয়।

তবে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব গ্রহণের ব্যাপারে জল্পনা থাকলেও সেদিন আর তা হয়নি। চীন ও রাশিয়ার সম্ভাব্য বিরোধিতার কথা বিবেচনা করে শেষ মুহূর্তে ওই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়নি।

এর প্রতিক্রিয়ায় এখন মিয়ানমার বলছে, জাতিসংঘের এমন বিবৃতি শরণার্থীদের ফেরানোর আলোচনায় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

রাখাইনে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সীমান্ত পার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এই রোহিঙ্গারা।

বুধবার অং সাং সু চি’র দপ্তর থেকে বলা হয়, মিয়ানমার ও বাংলাদেশ যেসব সমস্যার মুখে রয়েছে তা কেবল দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা সম্ভব। তাদের মতে, নিরাপত্তা পরিষদের বিবৃতিতে সমাধানের এই পথের কথা উল্লেখ নেই।

আগামী ১৬-১৭ নভেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে মিয়ানমার সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জানিয়ে সু চি’র দপ্তর থেকে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় নিরাপত্তা পরিষদের এমন বিবৃতি আলোচনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

Comments