ফকির হলে নিজের বুদ্ধিতে ফকির হও: তাসকিন
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে ফেরার দিনই বিয়ে করেছিলেন। ৭ তারিখ বিপিএলে প্রথম ম্যাচে নেমে তেমন ভালো করতে পারেননি। তবে পরের ম্যাচেই হিরো তাসকিন আহমেদ। এক ওভারে দুটি সহ ম্যাচে নিয়েছেন তিন উইকেট। করেছেন গুরুত্বপূর্ন রান আউট। তাতে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় পেয়েছে চিটাগাং ভাইকিংস। তাসকিনই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। ৪ ওভার বল করে ৩১ রানে ম্যাচ ঘুরানো পেয়েছেন তিন উইকেট।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন মেহেদী রাঙানো হাত নিয়ে। সবাইকে শুরুতে দেখালেনও তা। নিজের এমন বোলিং নিয়ে বললেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ছয়টা ম্যাচ মনের মতো একদমই হয়নি, ফার্স্ট ক্লাসটাও খেলতে পারি নাই। মনের মধ্যে আশা ছিল ভালো করার। অনেস্টলি, মোরালি ডাউন ছিলাম প্রথম ম্যাচ থেকেই। আমি আশা ছাড়িনি, অনুশীলনে বল করেছি। সব মিলে আল্লাহর রহমতে মন খুলে বল করায় ভালো একটা কামব্যাক হয়েছে।’
রান তাড়ায় রংপুর রাইডার্স ছিল ঠিক পথেই। বাদ সাধেন তাসকিন। ছন্দে থাকা শাহরিয়ার নাফীসকে বোল্ড করে শুরু। পরের বলে ফিরিয়ে দেন সামিউল্লাহ শেনওয়ারিকে। এরপরের বলেও উইকেট পড়েছে তবে হ্যাটট্রিক হয়নি। রংপুরের টপ স্কোরার রবি বোপারাকে করেছেন রান আউট। পরের ওভারে পেয়েছেন আরেক উইকেট। এক স্পেলেই বাজিমাত, ‘আমি চিন্তা করেছি খুবই ভালো একটা ব্যাটিং ট্র্যাক এখানে। যত মিক্স আপ করা যায়, স্লোয়ার বাউন্সার ইয়র্কার যত বেশি করা যায়। একই লেংথের দুইটি থেকে তিনটি বল করলেই কিন্তু বাউন্ডারি। এজন্য এর আগের দুইটা বল শর্ট অব লেংথে বাউস্নার মেরেছি। ওই বলে প্ল্যান করেছি পারফেক্ট ইয়র্কার করার জন্য, সেটা নিঁখুত হয়েছে।’
এই ম্যাচ মাথা খাটিয়ে বল করতে দেখা গেছে তাকে। ফলও মিলেছে হাতেনাতে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা টুরে চেষ্টা করেছি, যত খেলছি অভিজ্ঞতা হয়েছে আস্তে আস্তে শিখছি। এই জিনিসগুলো আসলে ভুল থেকে শিখা। এখনও আমি যদি বলি অনেক শিখে গেছি সেটা কিন্তু নয়। আমি এখনো ৫০ ভাগ অর্জন করতে পেরেছি, আরও ৫০ ভাগ বাকি আছে। সেটার জন্য কাজ কছি। সিনিয়ররা, মাশরাফি ভাই, রুবেল ভাই সবার সাথে কথা বলি। বাকিরাও হেল্প করে আমাকে।’
অনেকের অনেক বুদ্ধি না নিয়ে এখন নাকি নিজের বুদ্ধিতেই বল করছেন। তাই পেয়েছেন সাফল্য, ‘ আজ সকালে মিসবাহ ভাই নাস্তার টেবিলে একটা কথা বলেছেন, ফকির হলে নিজের বুদ্ধিতে ফকির হও। মরলে নিজের বুদ্ধিতে বল করে মার খাও। মানুষের কথা শোনার চেয়ে আমি আমার মনের কথা শোনার চেষ্টা করেছি।’
Comments