শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়: খালেদা জিয়া

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ (১২ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির নেত্রী এই মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়া বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।”
ক্ষমতাসীন দলকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচনী মাঠে আসেন। জনগণ যাদেরকে ভোট দিবেন তারাই সরকার গঠন করবেন। আমরা জনগণকে ভয় পাই না।”
এছাড়াও, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বক্তব্যে বিচারপতি এসকে সিনহা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিএনপির নেত্রী বলেন, “প্রধান বিচারপতিকে জোর করে অসুস্থ বানিয়ে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েই শেষ নয়। বিদেশে গিয়ে এজেন্সির লোকেরা চাপ দিয়ে তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করান। কেননা, তিনি সত্য কথা বলেছিলেন।”
আগামী নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিরোধিতাও করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশে লোক সমাগমে বাধা দিয়ে সরকার ছোট মনের পরিচয় দিয়েছে।
জনসভাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টার এর প্রতিবেদক জানান, আজ বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে খালেদা জিয়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পৌঁছালে সেখানে উপস্থিত দলের হাজারো নেতাকর্মী তাকে স্বাগত জানান।
জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন খালেদা। দশম জাতীয় নির্বাচনের ১৫ দিন পর ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি সর্বশেষ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাষণ দিয়েছিলেন তিনি।
গতকাল বিএনপিকে একাধিক শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে মাথায় রেখে এই জনসভার মাধ্যমে নিজেদের শক্তি জানান দিতে চায় দলটি।
গত ৩ নভেম্বর বিএনপি জানায় “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” উপলক্ষে ৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তারা করবে। পরে সমাবেশের তারিখ ১২ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়।
Comments