বিপিএলে পারফর্ম করলে ফেসবুকে সবাই দেখে তো তাই ভালো লাগে: আবু জায়েদ

খুলনার দেওয়া ১৭১ রান তাড়ায় চিটাগাং ভাইকিংসের মূল ভরসা ছিলেন দুই ওপেনার। টাইটান্স পেসার আবু জায়েদ রাহি দুজনকে প্রথমেই উপড়ে ফেলেন। পরে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা ৪ উইকেট। হয়েছেন ম্যাচ সেরা। দলকে জেতানো পাদপ্রদীপের আলোয় আসা। সব নিয়েই খুশি রাহি।
আগের দুই ম্যাচে ভাইকিংসের হয়ে ঝড় তুলেছিলেন লুক রঙ্কি। প্রথম ম্যাচে মাঝারি ইনিংস খেলেন সৌম্য সরকারও। এই দুজনকে শুরুতেই ফেরান তিনি। জানালেন বেসিক ঠিক রেখেই করেছেন মাপা বোলিং, ‘আসলে পরিকল্পনা ছিল জায়গা বোলিং করার। আর যদি স্যুয়িং করে স্যুয়িং করানো। ’
৪ ওভারে ৪ উইকেট পেলেও তার হাত থেকে খসে গেছে ৩৫ রান। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেও তাই আফসোস রাহির কন্ঠে, ‘আমার মনে হয় একটু এক্সপেনসিভ। তবে ম্যাচ জিতছি, চার উইকেট পেলাম ভালোই। তবে রান আরও কম দিলে ভাল হত। ’
এবার বিপিএলে দেশি ব্যাটসম্যানদের চেয়ে দেশে পেসাররা ভালো করছেন। তাসকিনের পর ম্যান অব দ্য ম্যাচ হলেন রাহি। পেসারদের সাফল্যের পেছনের রহস্য কি? রাহির মতে, ‘আমি , তাসকিন, রনি। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা একটু বেশি।’
জাতীয় লিগে সিলেট বিভাগের হয়ে নিয়মিত পারফর্ম করেন। পত্রিকায় খেলার পাতায় কোনায় হয়তবা জায়গা হয়। আলোড়ন তুলে না সেসব। মিডিয়া কাভারেজ আর ঝাকজমক থাকায় বিপিএলের পারফর্ম করায় বেজায় খুশি তিনি, ‘জাতীয় লিগে পারফর্ম করি অনেক কিন্তু মিডিয়া কাভারেজ একটু কম। ফেসবুকসহ সব সোশ্যাল মিডিয়াতে সবাই দেখে তো তাই এখানে পারফর্ম করে ভাল লাগে। ’
রাহির নিজের শহর সিলেটে এবার বিপিএলের পঞ্চম আসর শুরু হয়েছিল। রাহি অবশ্য খেলছেন খুলনা টাইটান্সের হয়ে। ঘরের মাঠে ঘরের বিপক্ষেই খেলে ফেলেছেন এক ম্যাচ। কিন্তু সেখানে খুব একটা তেতে ছিলেন না। খেলার বাইরে বিষয়েই নাকি চাপে ছিলেন তিনি। আমুদে মেজাজে জানালেন সেটাই, ‘সত্যি কথা বলতে কি হোম প্রেসার ছিল, আর টিকেটের প্রেসার ছিল। আসলে আউট অব ক্রিকেট ছিলাম হয়তবা কিছুটা। ’
Comments