সিআইপি কার্ড পেলেন ১৩১ রপ্তানিকারক

১৩১ জন রপ্তানিকারককে সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইম্পরট্যান্ট পার্সন) কার্ড দিয়ে সম্মানিত করেছে সরকার। ২০১৪ সালে ২২টি ক্যাটাগরিতে পণ্য রপ্তানিতে অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তাদেরকে এই কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
cip cards
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সিআইপি কার্ড হস্তান্তর করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ছবি: স্টার

১৩১ জন রপ্তানিকারককে সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইম্পরট্যান্ট পার্সন) কার্ড দিয়ে সম্মানিত করেছে সরকার। ২০১৪ সালে ২২টি ক্যাটাগরিতে পণ্য রপ্তানিতে অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে তাদেরকে এই কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

এর পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বিভিন্ন চেম্বার ও সংগঠনের সাথে যুক্ত ৩৩ জন ব্যবসায়ীকেও সিআইপি কার্ড দিয়ে সম্মানিত করা হয়েছে। গতকাল ঢাকায় প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে কার্ড হস্তান্তর করেন।

সিআইপি কার্ডধারীরা নানা ধরনের সরকারি সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই কার্ডের নির্ধারিত মেয়াদ থাকে। মেয়াদের মধ্যে সচিবালয়ে প্রবেশের সুযোগের পাশাপাশি সরকারি অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত হন তারা।

এছাড়াও বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোতে বিশেষ সুবিধা ও বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে পারেন সিআইপিরা।

সিআইপি, তাদের স্বামী/স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কেবিন সুবিধা পেয়ে থাকেন। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা, রেলওয়ে ও গণপরিবহনে সিট সংরক্ষণেও বিশেষ সুবিধা পান তারা।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, পরিমাণের দিক থেকে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলেও অর্থের হিসাবে সেটি একই হারে বৃদ্ধি পায়নি। নতুন বাজারে পণ্য রপ্তানিতে সরকার তিন শতাংশ নগদ প্রণোদনার কথা তুলে ধরে তিনি পণ্য রপ্তানিতে নতুন নতুন বাজার খুঁজে করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সিআইপিদের মধ্যে থেকে একজন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস প্রেসিডেন্ট বিজয় ভট্টাচার্য ও ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম বক্তব্য দেন।

Comments