কাঁদতে কাঁদতে ‘বিদায়’ বললেন বুফোন

ফুটবল ইতিহাসের সেরা গোলকিপার কে, এই নিয়ে বিস্তর তর্ক থাকতে পারে। লেভ ইয়াসিন থেকে অলিভার কান। অনেক গোলরক্ষকই মন জয় করে গেছেন মানুষের। তবে গেল যুগের কথা যদি বলা হয় তবে নিঃসন্দেহে একটাই নাম আসবে- জিয়ানলুইজি বুফোন। গোলবারের নিচে এই অতন্দ্র প্রহরী নিজ দেশের হয়ে শেষ ম্যাচটা খেলে ফেললেন। ম্যাচ শেষে চোখে জল নিয়ে নিজেই তা জানিয়েছেন।
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে অফে সুইডেনের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে ইতালি। ৬০ বছর পর কোন বিশ্বকাপে দেখা যাবে না চারবারের চ্যাম্পিয়নদের। খেলা শেষ হওয়ার পরই তাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বুফোন, কিয়েল্লিনি, বেলোত্তিরা। বুফোন জানিয়ে দিয়েছেন ইতালির হয়ে আর দেখা যাবে না তাকে।
৩৯ বছর বয়সী বুফোন জাতীয় দলে আসেন সেই ১৯৯৭ সালে। এরপর খেলে গেছেন টানা। ইতালিকে জিতিয়েছেন ২০০৬ বিশ্বকাপ। ক্লাব জুভেন্টাসের হয়ে জিতেছেন অনেক ট্রফি। তিনি গোলবারের নিচে দাঁড়ালেই আর চিন্তা থাকত না দলের। জীবনের শেষ ম্যাচেও গোল খাননি। কিন্তু সুইডেনের মাঠে প্রথম লেগে এক গোল খাওয়ার পর ঘরের মাঠে গোলশূন্য ড্র। ইতালিকে ছিটকে দিয়েছে প্লে অফের হিসেব নিকেশ।
২০১৮ বিশ্বকাপ খেলেই গ্লাভস আর বুট তুলে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যেতে পারছেন না রাশিয়ায়। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে বলেন, ‘এটা লজ্জার। আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার শেষ ম্যাচ হেরে ইতালিকে বিশ্বকাপে নিতে পারলাম না।’
পুরো ম্যাচে মোট ২৭বার গোল করতে শট নিয়েছে ইতালি। একবার বল জালে ঢুকাতে পারেনি। সুইডেনের গোলরক্ষক অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ঠেকিয়েছেন আজ্জুরিদের প্রচেষ্টা, তবে বেলোত্তিরাও হেলায় হারিয়েছেন সুযোগ। শেষ কয়েকমিনিট গোলবার ছেড়ে আক্রমণে উঠে এসেছিলেন বুফোনও। তবু কিছুই হয়নি, এই হারে একা কাউকে দায় দিচ্ছেন না ইতালিয়ান লিজেন্ড, ‘দায় আমাদের সবার। কোনো অজুহাত নেই। আমরা এক সঙ্গে জিতি, এক সঙ্গে হারি।’
Comments