খেলা

শটটা গ্যাম্বলিংয়ের মতো খেলেছিলেন জহুরুল

জহুরুল ইসলাম এমনিতে প্রথাগত ব্যাটসম্যান। উইকেটে থিতু হতে খানিকটা সময় নেন। থিতু হলে খেলতে পারেন বড় শট। তবে তার বেশিরভাগই প্রথগত স্টাইলে। কিন্তু এদিন মারলেন এমন এক শট যা আগে কখনো ম্যাচে খেলেননি তিনি
Jaharul Islam Omi
রিভার্স স্কুপ শট খেলে চার মেরে ঢাকাকে জেতান জহুরুল ইসলাম অমি। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিততে হলে শেষ দুই ওভারে ঢাকা ডায়নামাইটসের দরকার ছিল ১৯ রান। আবু জায়েদ রাহির করা ওই ওভার থেকে দুই চারে ১৩ রান তুলে নেন জহুরুল ইসলাম অমি ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। শেষ ওভারে দরকার ৬ রান। ম্যাচ তখন একদম মুঠোয়। কার্লোস ব্র্যাথওয়েটের প্রথম চার বল থেকে এল মাত্র ২ রান। আবার ম্যাচ হেলে গেল খুলনার দিকে। পঞ্চম বলটা রিভার্স স্কুপ করে থার্ডম্যান দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন জহুরুল। জিতে গেল ঢাকা। ম্যাচ শেষে বলেছেন অনেকটা গ্যাম্বলিংয়ের মতো খেলেছিলেন ওই শট।

জহুরুল ইসলাম এমনিতে প্রথাগত ব্যাটসম্যান। উইকেটে থিতু হতে খানিকটা সময় নেন। থিতু হলে খেলতে পারেন বড় শট। তবে তার বেশিরভাগই প্রথগত স্টাইলে। কিন্তু এদিন মারলেন এমন এক শট যা আগে কখনো ম্যাচে খেলেননি তিনি, ‘প্রথম দুইটা বল আমি চার মারতে গিয়েছিলাম স্কয়ার লেগ দিয়ে। ব্র্যাথওয়েটের ইয়র্কারগুলো খুব পারফেক্ট ছিল। ওটা আমার ভুল চিন্তা ছিল। এক রানের চেষ্টা করলে হয়ত ব্যাটে লাগত। ম্যাচটা আমিই বিপদে ফেলে দিয়েছিলাম। পরে চিন্তা করলাম ও আবার ইয়র্কারই মারবে, থার্ড ম্যাচ যেহেতু উপরে। আমি একটা গ্যাম্বলিংয়ের মতো শটটা (রিভার্স স্কুপ) খেললাম। আমি এটা কোনদিন খেলিনি ম্যাচে।’

তারায় ভরা ঢাকা ডায়নামাইটসের ব্যাটিং অর্ডারে নিচের দিকেই জায়গা তার। খেলার সুযোই হয় কম। এই ম্যাচে সুযোগ পেয়ে মেলে ধরেছেন ডানা। তাতে তৃপ্তি চোখেমুখে, ‘খুবই ভালো লাগছে । কেননা প্রথম কয়েক ম্যাচে তো সুযোগই পাইনি। বিদেশি যারা আছেন তারা তো টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খুবই ভালো তাই স্থানীয়দের সুযোগ পাওয়া কঠিন। আজ আগে নামার সুযোগ পেয়েছি। ২৪ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়াতে দল চাপে ছিল। আমাদের মতো খেলোয়াড়দের জন্য এটা অনেক বড় সুযোগ যে শেষ পর্যন্ত খেলা। মেইন কাজটা করে দিয়েছে  পোলার্ড। তখন আসলে রানরেট ছিল সাড়ে ১৪। আসলে আমাদের জন্য খুবই কঠিন। ’

‘আমি আর সৈকত কথা বললাম যে, আওরা যদি শেষ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারি তাহলে ম্যাচটা জেতা সম্ভব।’

ঢাকার টপ অর্ডারের চারজনই বিদেশি। কিন্তু দলকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা একজন দেশি। এবার কি আরও উপরে নামার সুযোগ হবে? জহুরুল এই প্রশ্ন খেললেন সুকৌশলে, ‘লোকাল আর ফরেন বলে কথা নাই, এটা আসলে টিম। কম্বিনেশনের জন্য যাকে আগে নামানো দরকার তাকে নামাবে। কখনো আমি ওপেনিংয়েও নামাতে পারে। এটা টিমের প্লানিং। যেহেতু টিম হয়ে গেছে এখন আর ডিভাইড করা যাবে না।’

 

Comments

The Daily Star  | English
2712 Compete for 300 Seats in national polls 2024

12th national election: 2,712 aspirants to vie for 300 seats

A total of 29 registered political parties have nominated their candidates for the election scheduled for January 7

1h ago