কুমিল্লার সাইফুদ্দিনের পাশে রাজশাহীর লুক রাইট
আগে ব্যাট করা রাজশাহীর শেষ ওভারের আগে স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ১৫৩। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ওই ওভার থেকেই আসে ৩২ রান। চার ছক্কার সঙ্গে স্যামি মেরেছেন এক চার। সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮৬ রান, ওই রান তাড়ায় ১৫৫ রানে থেমে কুমিল্লা হেরেছে ৩০ রানে। ম্যাচ শেষেও তাই সাইফুদ্দিনের ওই ওভারটিই থাকল আলোচনায়। রাজশাহীর লুক রাইট অবশ্য বাংলাদেশের তরুণ সাইফুদ্দিনের পাশেই দাঁড়ালেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শেষ টি-টোয়েন্টিতেও অমন মার খেয়েছিলেন সাইফুদ্দিন। ডেভিড মিলার পাঁচ ছক্কায় তার ওভার থেকে নিয়েছিলেন ৩১ রান। ব্যাট হাতে মিলারের মতন তাণ্ডব চালানোর সুনাম দুনিয়াজোড়া স্যামিরও। সেদিক থেকে সান্ত্বনার বাণী সাইফুদ্দিনের জন্য, ‘ অমন ব্যাটিং করার জন্য স্যামি বিশ্বের অন্যতম সেরা। সে অনেক বোলারকেই এভাবে মারতে পারে। তবে আমার মনে হয় সাইফুদ্দিনের আরও বৈচিত্র্যময় বোলিং শিখতে হবে। এই অভিজ্ঞতা থেকে তার আরও শেখার আছে। তার উচিত নেটে গিয়ে আরও ঝালাই করা। আসলে এটাই ক্রিকেট। আজ সে বেশ ভালো বোলিং করছিল। আমার মনে হয় সে ফিরে আসবে। সে খুব ভালো বোলার। ’
লুক রাইটের আগেই অবশ্য সতীর্থের পক্ষে ব্যাট ধরে গেছেন আল-আমিন। তার মতে টি-টোয়েন্টিতে বোলাররা অমন মার খেতেই পারেন। তবে সাইফুদ্দিনের সামর্থ্য আছে ফের ঘুরে দাঁড়ানোর।
রাজশাহীকে চূড়ায় তুলতে ১৪ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছেন স্যামি। বল হাতে এক ওভারে তিন উইকেটসহ চার উইকেট নিয়ে অবদান আছে মোহাম্মদ সামির। ‘স্যামি’ আর ‘সামির’ মধ্যে অধিনায়কের অবদানই এগিয়ে রাখলেন রাইট, ‘আমার মনে হয় ড্যারেন স্যামি বিশাল ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ওর ওই ইনিংস ছাড়া আমরা হয়ত কেবল ১৬০ করতে পারতাম। বল হাতে মোহাম্মদ সামি অসাধারণ ছিল । কিন্তু আমার মনে হয় স্যামির ওই ইনিংসের পর ওরা চাপে পড়েই একের পর এক উইকেট হারিয়েছে।’
Comments