স্বর্ণের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের পক্ষে টিআইবি

স্বর্ণের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার

দেশে স্বর্ণ কেনাবেচায় স্বচ্ছতা ও চোরাচালান রোধে স্বর্ণ আমদানির ওপর চলমান শুল্ক প্রত্যাহারের পক্ষে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি মনে করে, শুল্ক কমানোর পাশাপাশি স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা হলে বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানি বাড়বে। ফলে স্বর্ণ চোরাচালানের মত অপরাধের ব্যাপকতা কমবে ও দেশে স্বর্ণ ব্যবসার একটি সুস্থ পরিবেশ গড়ে উঠবে।

ঢাকায় টিআইবির সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “আমাদের দেশের স্বর্ণের বাজার অনেক বড়। স্বর্ণ এখানে অনেক জনপ্রিয়। মানুষের এর প্রতি আগ্রহ রয়েছে। কিন্তু চোরাচালানের ওপর এই সেক্টরটি নির্ভরশীল থাকুক তা আমরা চাই না।”

দেশের স্বর্ণের বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিয়ে গবেষণায় চোরাচালান নির্ভরতার বিষয়টি উঠে আসার পর টিআইবি এই উপায় বাতলেছে। গবেষণায় তারা দেখেছে মূলত স্বর্ণ ও জুয়েলারি ব্যবসায়ীরাই একছত্রভাবে দেশের স্বর্ণের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে।

টিইবির গবেষণা ও নীতি বিষয়ক পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, “স্বর্ণ ব্যবসায় কার্যত সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। পুরো ব্যবসাটি চোরাচালানের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এতে কোনো জবাবদিহিতা নেই।” এই ব্যবসার বিভিন্ন ধাপগুলোতে প্রচুর অনিয়ম ও দুর্নীতি থাকারও প্রমাণ পেয়েছে তারা।

টিআইবি বলছে, স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীগুলোর এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তি যুক্ত রয়েছেন। স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় এই চোরাচালান চলছে।

“এক্ষেত্রে আমাদের নীতি দুমুখো। একদিকে আমরা চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনা স্বর্ণ ব্যবসার অনুমতি দিচ্ছি অন্যদিকে ধাতুটির আমদানি ও ব্যবসা নিয়ে এখনও কোনো নীতিমালাই নেই আমাদের।”

স্বর্ণ আমদানি ও ব্যবসা নিয়ে সরকারি নীতিমালা তৈরিতেও চোরাচালানকারী এই চক্রটি বাধা সৃষ্টি করছে বলে জানতে পেরেছে টিআইবি।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank signals market-based exchange rate regime

The central bank will allow the exchange rate of the dollar to be determined by market forces

14m ago